দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের ভারতের বিদেশমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন এস জয়শংকর। মঙ্গলবার, নতুন করে সমস্ত কাজ বুঝে নিতে তিনি পা রাখেন সাউথ ব্লকে। সেখানে তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। আর দ্বিতীয়বারের জন্য বিদেশমন্ত্রী হয়ে তাঁর গলায় শোনা গেল সীমান্ত সংঘাতের কথা। মোদি ৩.০ সরকারের প্রধান লক্ষ্য যে বর্ডার ইস্যুগুলোর সমাধান ও সন্ত্রাসবাদ দমনে কাজ করা, সেকথাই জানালেন তিনি। পাশাপাশি চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আগামিদিনে ভারতের বিদেশনীতির কথাও তুলে ধরলেন জয়শংকর।
মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি সম্পূর্ণরূপে আশাবাদী আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে বিদেশনীতি আরও সফল হবে। বিশ্বে ভারতের প্রভাব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি শুধুমাত্র আমাদের উপলব্ধি নয়, অন্যান্য দেশগুলিও মনে করে ভারত সত্যি তাদের বন্ধু। তারা দেখেছে জি২০ সম্মেলনে ভারত কী ভাবে সভাপতিত্ব করেছে। আমাদের দায়িত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।’’ শীঘ্রই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাবে ভারত, এই আশাও প্রকাশ করেছেন জয়শঙ্কর।
এর পরই ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ প্রসঙ্গেও কথা বলেন জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, ‘‘যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশে পর পর তিন বার নির্বাচিত হওয়া খুবই বড় ব্যাপার। ভারতে যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে, তা বিশ্ববাসী বুঝতে পারছেন।” জয়শঙ্কর আরও বলেন, “ভারত এবং পাকিস্তান নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে দু’দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আলাদা এবং সমস্যাও ভিন্ন। চিনের বিষয়ে অবশ্যই আমরা সীমান্ত সমস্যা সমাধানের দিকে মনোযোগ দেব।’’
পাকিস্তান নিয়ে বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের কথা। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের বহু বছরের পুরনো আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের সমস্যা রয়েছে। তাই সেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। আমাদের লক্ষ্য সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা।’’ দীর্ঘ দিন ধরেই ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে শীতলতা রয়েছে। চলতি বছরে দুই দেশে নতুন সরকার এলেও সেই শীতলতা কাটেনি। তবে আগামী দিনে বরফ গলার আশা করছেন জয়শঙ্কর।