দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রথম বর্ষাতেই ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে রামলালার গর্ভগৃহে। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে টর্চ জ্বেলে করতে হচ্ছে রামের আরতি। এমন বেহাল অবস্থায় দ্রুত কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে রামমন্দিরের দরজা। রামলালার মন্দিরের বেহাল দশায় এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন ক্ষুব্ধ প্রধান পুরোহিত।
গত ২২ জানুয়ারি মহা ধূমধাম করে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখনই বিরোধীদের একাংশ অভিযোগ করেছিল, ভোটের স্বার্থে অসম্পূর্ণ মন্দিরের উদ্বোধন করা হচ্ছে। দেশের চারজন শঙ্করাচার্য আবার শাস্ত্র ঘেটে নিদান দিয়েছিলেন, এই অবস্থায় মন্দির উদ্বোধন বিধি বিরুদ্ধ। তাঁরা উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করেন।
প্রসঙ্গত, মন্দির নির্মাণের সময়ও লাগোয়া সরযূ নদীর জলে পিলার নির্মাণের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল। তখন প্রশ্ন উঠেছিল মন্দিরের ভার বহন করার মতো অযোধ্যার মাটি উপযুক্ত কিনা। বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদদের ডেকে সেই সমস্যার সমাধান করা হয়। এখন দেখা দিয়েছে নতুন বিপত্তি।
গত কয়েকদিন অযোধ্যায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। তাতেই মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে আসা বৃষ্ট্রির জলে মেঝেতে জমে যায়। বিঘ্ন ঘটে পুজোয়। রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্রনাথ মিশ্র অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, সমস্যা মিটে যাবে। তাঁর বক্তব্য, মন্দিরের একটি মাত্র তল এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় তল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বাকি দুটি তলের কথা বিবেচনায় রেখেই একতলার ছাদের কিছুটা অংশ ফাঁকা রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই জল পড়েছে। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সমস্যা মিটে যাবে।
অন্যদিকে, প্রধান পুরোহিতের বক্তব্য, খাস গর্ভগৃহ অর্থাৎ যেখানে রামলালা বিরাজমান বা নতুন রাম মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেই ঘরের মেঝে ডুবে গিয়েছে। প্রধান পুরোহিতের বসার জায়গাও জলের তলায়। এমনকী ভিভিআইপি দর্শনার্থীদের দেবতা দর্শন স্থানটিরও একই দশা। তাঁর বক্তব্য, ভাল করে খতিয়ে দেখা দরকার মন্দিরের নকশায় কোনও গোলমাল আছে কি না। নৃপেন্দ্রনাথ মিশ্র অবশ্য সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।