দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নালন্দা কলেজের নুরসরাই শাখায় টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে কর্মরত সঞ্জীব মুখিয়ার নাম সেই প্রথম দিন থেকে উঠে আসছে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা নিট দুর্নীতির তদন্তে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাকে। গত ৬ মে থেকে সে 'নিখোঁজ'।বিহার পুলিশের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা (ইএইউ) সূত্রে খবর, প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে সাইবার অপরাধীদের সঙ্গে যোগ ছিল সঞ্জীবের গ্যাংয়ের।
ইএইউ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে নিটকাণ্ডে যুক্ত থাকার অপরাধে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন জনই সাইবার অপরাধ জগতে বিচরণ করতেন। গ্রেফতারির সময় তাঁদের কাছ থেকে কিছু সিম কার্ড এবং ব্যাঙ্ক চেক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, সঞ্জীবের গ্যাংয়ের সদস্যদের আশ্রয় এবং সিম কার্ড সরবরাহ করত সাইবার অপরাধীর দল।
নিটকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। সেই কাণ্ডে কারা জড়িত, তা খুঁজতে উঠেপড়ে লেগেছে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ এবং সিবিআই। উঠে আসছে একাধিক নাম। সেই তালিকায় বার বার ঘুরে-ফিরে চলে আসছে সঞ্জীবের নাম। তিনি পেশায় বিহারের নুরসরাইয়ের হর্টিকালচার কলেজের কর্মী। অভিযোগ, নিট পরীক্ষার এক দিন আগে পটনা এবং রাঁচীতে লার্ন প্লে স্কুল অ্যান্ড বয়েজ় হস্টেলে ডাক্তারি পড়ুয়াদের নিয়ে আসেন সঞ্জীব। ওই লার্ন প্লে স্কুল অ্যান্ড বয়েজ় হস্টেলে আগে থেকেই পরীক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন সঞ্জীব। সেখানেই তাঁদের প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র বিলি করা হয় লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে।
শুধু সঞ্জীব নন, প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে নাম উঠে এসেছে তাঁর ছেলে শিব এবং ভাগ্নে রকিরও। শিব বর্তমানে জেলবন্দি। বিপিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের অন্যতম চক্রী হিসাবে উঠে এসেছিল সঞ্জীব-পুত্রের নাম। অভিযোগ, শিবের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল হাজারিবাগের প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের। রকির সন্ধানও শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, রাঁচীতে একটি হোটেল চালান রকি। তবে বর্তমানে তিনি ‘নিখোঁজ’। অভিযোগ, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের উত্তরপত্র সরবরাহ করার সঙ্গে জড়িত ছিলেন রকি।