West Bengal

1 week ago

Bhangar Schools Give Students Lime Water: প্রবল গরমে স্কুলে উপস্থিতি কম! পড়ুয়াদের নুন-লেবুর জল

Attendance at school is low in the hot summer!
Attendance at school is low in the hot summer!

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দেড় মাস স্কুল বন্ধ থাকার পর বেশির ভাগ স্কুলই খুলেছে সোমবার। আবার কিছু স্কুল খুলেছে মঙ্গলবারও। কিন্তু প্রবল গরমে পড়ুয়াদের উপস্থিতি বেশ কম। উঁচু ক্লাসে ৫০% ছাত্রছাত্রী গড়ে উপস্থিত থাকলেও নিচু ক্লাসে তাও দেখা যাচ্ছে না। গরম থেকে বাঁচতে নুন-চিনি-লেবুর জল দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। আবার বেশ কিছু স্কুলে এখনও আধাসেনা রয়ে গিয়েছে। স্কুল চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা।

সব মিলিয়ে দেড় মাস পরেও অচলাবস্থা পঠনপাঠনের। আর কিছুদিনের মধ্যেই হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষা শুরু হবে স্কুলগুলিতে। তার আগে পুরোদমে ক্লাস শুরু করা না গেলে সমস্যায় পড়বে পড়ুয়ারা। বুধবার ভাঙড়ের বিভিন্ন হাইস্কুলে দেখা গেল এখনও সেখানে আধাসেনা ঘাঁটি গেঁড়ে রয়েছে। গত ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণার পর এ রাজ্যে আরও ১৫ দিন অর্থ্যাৎ ১৯ জুন পর্যন্ত সেনা রাখার কথা বলা হয়েছে।

ফলে ভোটের অনেক আগে থেকে যে স্কুলগুলিতে বাহিনী ঘাঁটি গেড়েছিল সেখানে এখনও তারা রয়ে গিয়েছেন। পোলেরহাট হাইস্কুল, কাঁঠালিয়া হাইস্কুল, কচুয়া হাইস্কুল, বামনঘাটা হাইস্কুল, হাটগাছা হরিদাস বিদ্যাপীঠ সবর্ত্র বাহিনী থাকায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। বহু হাইস্কুলের নীচের তলা দখল করেছে বাহিনী। ফলে পড়ুয়াদের দোতলা বা তিনতলার রুমে ক্লাস করতে হচ্ছে। প্রবল গরমে সেখানে হাঁসফাঁস করা পরিস্থিতির জন্য শিক্ষক পড়ুয়া কেউই ক্লাস করতে চাইছেন না।

আবার কচুয়া হাইস্কুলের মতো স্কুলে বাহিনী ও পড়ুয়াদের ঢোকার গেট একটাই। অভিযোগ, উঁচু ক্লাসের ছাত্রীরা যখন স্কুলে প্রবেশ করছেন তখন গেটের মুখেই স্নান করছেন বাহিনীর জওয়ানরা। অস্বস্তিতে পড়ছে ছাত্রীরা।

গরমের কথা ভেবে বুধবারই নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। তাতে ‘মর্নিং স্কুল’ এর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে। সেই পরামর্শ বা গাইডলাইন আবার মানতে চাইছেন না অনেকে। সকাল সকাল স্কুলে আসার চেয়ে বেলায় স্কুলে আসাই পছন্দ প্রধান শিক্ষকদের। এরই মাঝে ছাত্রছাত্রীরা যাতে গরমে অসুস্থ হয়ে না পড়ে সে জন্য তাঁদের বিনামূল্যে নুন-চিনি-লেবুর শরবত দিচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

ভাঙড় ১ ব্লকের নারায়ণপুর হাইস্কুলের (ওল্ড সাইট) প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘তীব্র গরমে ছেলেমেয়েদের হাজিরা বেশ কম। তবুও যারা ক্লাস করতে আসছে তারা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে সে জন্য বারবার নুন-চিনি-লেবু মিশ্রিত ঠান্ডা জল দেওয়া হচ্ছে।’

You might also like!