দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গত মাসে ঝালদার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। ১২ আসনের পুরসভার পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং এক জন নির্দল কাউন্সিলর (মোট ছ’জন) অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। ঠিক তার পরেই পুরসভায় শাসকদলকে বেকায়দায় ফেলে তৃণমূল ছাড়েন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। যিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর দলত্যাগেই বদলে যায় সমীকরণ। ১২ আসনের পুরসভায় বিরোধী কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে হয় ৭। কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়, পুরসভা হাতছাড়া হতে চলেছে শাসকদলের।
গত পুরভোটের পরেই খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। তপন খুনে শাসকদলকেই অভিযুক্ত করেছিল কংগ্রেস। সেই ঘটনার তদন্তভার পরবর্তীকালে সিবিআইয়ের হাতে যায়। তপন খুনের পর সেই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন তপনের ভাইপো মিঠুন কান্দু। এ বার গোটা পুরসভাই তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিল হাত শিবির।
ঘটনাচক্রে, সোমবার পুরসভার আস্থাভোটে হাজির ছিলেন না শাসকদলের কোনও কাউন্সিলর। পুরসভা দখলের পর ঝালদা শহরে বিজয় মিছিল করে কংগ্রেস। নিহত প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর নামেও স্লোগান দেওয়া হয়।