দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বিভীষিকাময় যাত্রার সমাপ্তি। রেলের দেওয়া সময়ের ২০ মিনিট আগেই শিয়ালদহে ঢুকে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। রাত ৩টে ১৬ মিনিটে ট্রেনটি শিয়ালদহে পৌঁছয় । শহরের মাটিতে পা দিয়ে যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন ১২৯৩ যাত্রী। সকালবেলার চরম আতঙ্কের ছাপ অনেকের চোখেমুখেই স্পষ্ট। হয়তো ভাবছেন, কপালজোরেই হতাহত ৫০ জনের তালিকায় নাম রইল না তাঁদের!
গভীর রাতে ট্রেন আসার জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিয়ালদহের ডিআরএম দীপক নিগম এবং রেলের অন্যান্য অফিসাররাও। ট্রেন এসে পৌঁছনোর পরে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামেন, তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় জল ও খাবার। তাঁরা কেমন আছেন, কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে নাকি, যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম এবং রেলকর্তারা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল উত্তরবঙ্গে যান দুর্ঘটনাগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে। সেখান থেকেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাতে শিয়ালদহে নামার পরে যাত্রীরা যাতে বাড়ি ফিরতে পারেন সহজে, সে জন্য একাধিক সরকারি বাস রাখা থাকবে শিয়ালদহ স্টেশনে। সেই মতোই দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস শিয়ালদহে পৌঁছলে যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সোমবার সকালে রাঙাপানি এবং নীচবাড়ি স্টেশনের মাঝে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সরকারি সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টার কিছু পরে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত চারটি বগি বাদ রেখেই ঘটনাস্থল থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ওই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। রাত সওয়া তিনটে নাগাদ সেই ট্রেন শিয়ালদহ পৌঁছয়।
জানা গেছে, দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে তিন জন রেলকর্মী। দু’জন মালগাড়ির লোকো পাইলট, একজন কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। নতুন গার্ড নিয়ে চলতে শুরু করে ট্রেন। ট্রেনে ছিলেন ১২৯৩ জন যাত্রী।