দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অমান্য, দায়িত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার অপরাধে রাজ্যজুড়ে প্রায় ছয় শতাধিক বুথ লেভেল অফিসারকে (বিএলও) কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) পাঠানো হয়েছে।কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে রাজ্যজুড়ে বুথ লেভেল অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেই সময় থেকে শুরু করে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ওই বুথ লেভেল অফিসাররা কাজে যোগ দেননি। তাই ইআরওরা এই নোটিস পাঠিয়েছেন।
কমিশন সূত্রে খবর, কেন তাঁরা কমিশনের কাজ করতে চাইছেন না, তার সঠিক কারণ জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলায় যে কোনও সময় শুরু হবে এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা। প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যে হেতু নির্বাচন কমিশনের কাজে অংশ নেন এই বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসাররা। ভোটার তালিকা সংশোধনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। তাই ৬০০ জন বিএলও-কে শোকজ করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। কমিশন সূত্রে খবর, নোটিসের জবাব সন্তোষজনক না হলে ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির সংগঠন নেই। দলের প্রভাব খাটিয়ে এসব করছে। মানুষ জবাব দেবে।”
যদিও কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।” শীঘ্রই দেশজুড়ে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনী– এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। তার আগে পশ্চিমবঙ্গে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় কমিশন রাজ্যের উপর কড়া নজরদারি শুরু করেছে।
আজ ও আগামিকাল বিহার ছাড়া অন্যান্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে কমিশনের জরুরি বৈঠক হবে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে বিএলওরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি কমিশনকে জানিয়েছিলেন, সমস্ত শিক্ষক, যাঁরা বিএলওর কাজ করবেন তাঁরা কাজে যোগ দিলে স্কুলে পঠন-পাঠনের সমস্যা হবে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে, এটা সম্ভব না। স্কুলের একমাত্র শিক্ষক বা নির্দিষ্ট কোনও বিষয়ের একমাত্র শিক্ষককেও বিএলও-র কাজ করতে হলে সমস্যা হবে। তাই প্রশিক্ষণে যোগ দিতে পারছেন না।