সম্প্রতি ভুয়ো ভোটার নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল পাল্টা সরব হয়েছে বিজেপি সহ সকল রাজনৈতিক দলও, যদিও ভুয়ো ভোটার ধরতে উল্লেখ যোগ্য ভাবে দলীয় স্তরে কর্মসূচী নিয়েছে কেবল তৃণমূল। পাশাপাশি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন একটি রায় ও ঘোষণা করেছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ভোটার কার্ডের সাথে আধার লিংক করাতে হবে। আর যা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা, আর এমতাবস্থায় নদীয়ায় রাস্তার পাসে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার হলো বস্তা - বস্তা ভর্তি ভোটার কার্ড, আর যেকে ঘিরে একাধারে যেমন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা পাশাপাশি চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণ কালীতলার বিসর্জন ঘাট সংলগ্ন এলাকায়। সেখানেই একটি পরিত্যক্ত জায়গায় ভোটার কার্ড গুলি পড়ে থাকতে থাকে এলাকাবাসী। পরবর্তীকালে একটি বস্তা খুলে দেখে বস্তার মধ্যে ভর্তি রয়েছে ভোটার কার্ড। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। পরবর্তীকালে পুলিশ গিয়ে পড়ে থাকা এবং বস্তায় থাকা ভোটার কার্ডগুলি সংগ্রহ করে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পথচারীদের দাবি কে বা কারা এই ভোটার কার্ডগুলি ফেলে গেছে তারা কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। বস্তা ভর্তি যে ভোটার কার্ডগুলো উদ্ধার হয়েছে তার ঠিকানা রয়েছে কোথাও উত্তর চব্বিশ পরগনা কোথাও হুগলী আবার নদীয়ার বেশ কিছু জায়গার ঠিকানা রয়েছে। অন্যদিকে ভোটার কার্ড উদ্ধার হওয়ার পর নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি যখন আদালত নির্দেশিকা জারি করেছে সমস্ত ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিংক করাতে হবে তখনই শাসকদলের দুষ্কৃতীরা বুঝতে পেরে এই বেআইনি ভোটার কার্ড গুলি ফেলে রেখে গেছে। মূলত তারা এই ভোটার কার্ডগুলি বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার করত। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তবে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করেছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল স্থানীয় কাউন্সিলর বিকাশ চন্দ্র সাহার দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা ইতিমধ্যে বুথে বুথে ভুয়ো ভোটার ধরার কর্মসূচি চালাচ্ছি। সেই পরিস্থিতিতে বিজেপি চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটাতে পারে। যে ভোটার কার্ডগুলি উদ্ধার হয়েছে তা সম্পূর্ণ তদন্তের দায়িত্ব রয়েছে প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের উপর। নিশ্চয়ই তারা তদন্ত করবে। তবে এই ঘটনায় শাসক দল কোনভাবে যুক্ত নয়।