আগরতলা: সচিবালয়ে আগরতলা-এয়ারপোর্ট সড়ক, ইউনিটি মল ও গুর্খাবস্তিতে বহুতলবিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও অগ্রগতি নিয়ে এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্যালোচনা সভায় পৌরোহিত্য করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসার ডা. মানিক সাহা। সভায় তিনি এই প্রকল্পগুলির পর্যালোচনা করে বলেন, প্রকল্পগুলির নির্মাণকাজে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি রাখতে হবে। রাজ্য সরকার আইন-বিরুদ্ধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আপসহীন নীতি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে কোনও ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ দেখা দিলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
সভায় আগরতলা-এয়ারপোর্ট সড়ক, ইউনিটি মল ও বহুতল বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা এবং প্রকল্প রূপায়ণে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এয়ারপোর্ট রোড নির্মাণ ও প্রশস্তিকরণে ৫.৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আগরতলা-এয়ারপোর্ট সড়কের ব্ল্যা কটপের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তাছাড়া ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই সড়কে ডিভাইডার বসানো ও জুলাই মাসের মধ্যে আরসিসি ব্রিজ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, আমতলি বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় ৪.১৮ একর জমিতে ইউনিটি মল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগরতলা স্মার্টসিটি লিমিটেড এই মলটি নির্মাণের দায়িত্বে থাকবে। ইতিমধ্যেই শিল্প ও বাণিজ্য দফতর থেকে প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। জি-৩-বিশিষ্ট ইউনিটি মল নির্মাণের কাজ ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দু-বছরের মধ্যে মলটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। তাছাড়া, আগরতলার গুর্খাবস্তিস্থিত বহুতল-বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের বর্তমান অবস্থা নিয়ে পূর্ত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে গ্রিন বিল্ডিং নিয়ম মেনে এই বহুতল ভবনটি নির্মাণ করা হবে।