আগরতলা : আদালতে দীর্ঘদিন মামলা অমীমাংসিত থাকলে বিচার ব্যবস্থার ভূমিকা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। কোন বিচারপতি বা আদালতের প্রচেষ্টা ও দায়িত্ব হচ্ছে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা। সেজন্য আদালতের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। ১০ম বার্ষিক জুডিশিয়্যাল কনক্লেভের উদ্বোধন করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাস্টিস সূর্য কান্ত একথা বলেন।
জাস্টিস সূর্য কান্ত আলোচনার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সেজন্য জুডিশিয়্যাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, মামলা নিষ্পত্তি তথা ন্যায় প্রদানের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা পিছিয়ে নেই।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অপরেশ কুমার সিং আজকের দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেন কেননা ত্রিপুরা হাইকোর্টের আজ দশ বছর পূর্তি হয়েছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরা হাইকোর্ট এখন জোর কদমে কাজ করছে এবং দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করছে। ১ জানুয়ারি, ২০২৩ সালে অমীমাংসিত মামলার সংখ্যা ছিল ১,৬০০টি। গতকাল পর্যন্ত তা কমিয়ে আনা হয়েছে ১,১৭০ টিতে। লোক আদালতের মাধ্যমেও বহু মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে।
ত্রিপুরা জুডিশিয়্যাল একাডেমি ও ত্রিপুরা হাইকোর্টের উদ্যোগে নরসিংগড়স্থিত ত্রিপুরা জুডিশিয়্যাল একাডেমির অডিটরিয়ামে আজ ১০ম বার্ষিক জুডিশিয়্যাল কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হয়। কনক্লেভের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাস্টিস সূর্য কান্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জাস্টিস অপরেশ কুমার সিং, ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম লোধ, এডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শঙ্কর দে, ত্রিপুরা বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রতন দত্ত, হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পুরুষোত্তম রায় বর্মণ, ত্রিপুরা জুডিশিয়্যাল একাডেমির ডাইরেক্টর ঋষিকেশ চক্রবর্তী, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবিরা এবং মুখ্য সচিব জে কে সিনহা প্রমুখ।