দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকের জীবনযাত্রায় রাতভর পার্টির অভ্যাস বর্তমান। বিশেষত, সপ্তাহান্তে অর্থ্যাৎ উইকেন্ডে কোনো বারে বা নাইট ক্লাবে সেলিব্রেশন/মস্তি ভীষণ পরিচিত। গোটা সপ্তাহের কর্মক্ষেত্রে চাপ, অন্যান্য নানান চাপের মধ্যে মানসিক রিলাক্সেশন -তো ভীষণ প্রয়োজন। আর এই মানসিক রিলাক্সেশন জন্যই ডিস্কো, লাউড মিউজিক সহ দেদার হইহুল্লোড় অনেকেরই পচ্ছন্দের বা মুক্তির উৎস। গ্লাসে গ্লাস ঠেকিয়ে উল্লাস আর সারারাত সেলিব্রেশন। সঙ্গে ভালো মন্দ খানা পিনাতো আছেই। তবে রাতের সেই মায়াময় রূপকথা পেরিয়ে অপেক্ষা করে নতুন একটি সকাল। আর নতুন একটি দিন মানেই কাজে ফেরার তাগিদ, জীবনের অন্যতম ব্যস্ততার সূচনা। কিন্তু শরীরের হ্যাংওভার একটা অন্যতম সমস্যা, যার জন্য কাজে মন বসেনা কিছুতেই। তবে পাঁচটি উপায় মেনে চললে সহজেই কাটবে এই হ্যাংওভার, নিম্নে উল্লেখিত পাঁচটি উপায়,
১) জল: সকালবেলা উঠে যখন মনে হবে আগের দিন অতটা পান না করলেও পারতেন, তখন আপনার মাথাব্যথার একমাত্র ওষুধ জল। আজ্ঞে হ্যাঁ, বিশুদ্ধ পানীয় জলেই শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে রাতের যাবতীয় টক্সিন। কিংবা ইচ্ছা করলে সেই জলেই একটু লেবু চিপে পান করে ফেলুন।
২) কলা: এই ফলের গুণগান বারবার অসীম। রাতের উল্লাসের পর সকালে উঠতে গিয়ে চট করে অনেকের মাথাই ঘুরে যায়। চটজলদি একটা-দু’টো কলা খেয়ে নিন। পেট শান্ত থাকলে, হ্যাংওভারও বিদায় নেবে।
৩) মধু: মধুর রাত কাটানোর পর সকালে মধুই আপনার কাছে অমৃত হতে পারে। অনেকেই জানেন না পটাশিয়াম ছাড়াও মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই হ্যাংওভার কাটাতে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার বদলে এই প্রাকৃতিক ওষুধ টোস্ট কিংবা বিস্কুটের উপর লাগিয়ে খেয়ে ফেলুন।
৪) তাজা ফলের রস: অ্যালকোহল মানুষের শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। ফলে সকালে উঠলে অনেকেরই দূর্বল লাগে। এই সমস্যার সমাধানের একমাত্র উপায় তাজা ফলের রস। এমন ফল বেছে নিন যাতে গ্লুকোজ রয়েছে।
৫) গরম স্যুপ: খুব বেশি হ্যাংওভার কাটাতে এর থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। ধোঁয়া ওঠা গরম স্যুপের স্বাদ ও গন্ধে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে আপনার শরীর।