দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সকলের কাছে পরিচিত "বিশ্বকবি" বা "কবিগুরু" নামে। বাংলা সাহিত্যকে গন্ধে- বর্ণে-ছন্দে সাজিয়েছেন বাংলার এই স্বনামধন্য কবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, গান রচয়িতা, প্রাবন্ধিক এবং সমাজ সংস্কারক। ৫২ টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮ টি নাটক, ১৩ টি উপন্যাস ও ৩৬ টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন, সর্বমোট ৯৫ টি ছোটগল্প ও ১৯১৫ টি গান রচনা করেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বাংলা ১৩৪৮ সনের শ্রাবণ মাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। চিকিৎসকরা পরামর্শ করে ঠিক করেন, অস্ত্রোপচার করতেই হবে। ৯ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) শান্তিনিকেতন থেকে ৮০ বছর বয়সী ভগ্নস্বাস্থ্যের কবিকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। ৩০ জুলাই জোড়াসাঁকোর বাড়িতে তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার হয়। তবে কোন কাজে আসে নি। এরপর ২২ শ্রাবণ পরলোক গমন করেন তিনি। সেই থেকে এই প্রতিবছর এই দিনটিতে বিশ্বকবির স্মরণে তাঁর রচিত গান, কবিতার মাধ্যমে এই দিনটি পালিত হয়। এই বছর বিশ্বকবির ৮৩ তম মৃত্যুদিবস পালিত হচ্ছে। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত এই প্রতিভাবান কবি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। ঠাকুর পদবির জন্য এই বাড়ি ঠাকুরবাড়ি হিসেবে সকলের কাছে বিখ্যাত হলেও, আদতে বিশ্বকবির পদবি ঠাকুরই ছিল না। এর নেপথ্যে রয়েছে এক অন্য কাহিনী।
জানা যায়, এক ধরনের বিশেষ মাংসের গন্ধ শোঁকার জন্য সুন্দরবন অঞ্চলের চার ব্রাহ্মণ জমিদার ভাই রতিদেব কুশারি, কামদেব কুশারি, শুকদেব কুশারি, জয়দেব কুশারি কলঙ্কিত হন সমাজে। জগন্নাথ কুশারী এনাদেরই পরবর্তী বংশধর।মহেশ্বর আর শুকদেব এই বংশেরই ধারক। জানা যায়, মহেশ্বর আর শুকদেব গোবিন্দপুরের গরিব মানুষদের অত্যন্ত সেবা করেন।তাঁরা গরিব মানুষের কাছে ভগবান বা ঠাকুর হয়ে ওঠেন। গোবিন্দপুরে আসার পর এভাবেই তাঁরা কুশারী পদবী ত্যাগ করে ব্যবহার করতে শুরু করেন ঠাকুর। জানা যায়, ঠাকুর পদবী প্রথমে ব্যবহার করতেন শুধু শুকদেব। তাঁর ভাই মহেশ্বরের ছেলে পঞ্চাননও পরবর্তীকালে ঠাকুর পদবী হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেন। এইভাবে ধীরে ধীরে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের পদবি "ঠাকুর" হয়।