দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাড়িতে কি গাঁদা ফুলের গাছ আছে? ঠাকুর পুজোর জন্য গাঁদা ফুল নিশ্চয়ই আসে বাড়িতে। সেখান থেকেই কয়েকটা নিয়ে নিন। আপনার চুলের যত্ন রাখবে এই গাঁদা ফুলই। কী ভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১) নারকেল তেলের সঙ্গে গাঁদা ফুলের পাপড়ি ফুটিয়ে নিন। এ বার ওই মিশ্রণ ভাল করে চুলে ও মাথার তালুতে লাগান। ভাল করে মালিশ করতে হবে। দিনকয়েক এই টোটকা ব্যবহার করে দেখুন। ফল পাবেন তাড়াতাড়ি। নারকেল তেল ও গাঁদা ফুলের রসের মিশ্রণ চুল নরম রাখবে। চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে।
২) ২) দু’কাপ গরম জলে গাঁদা ফুলের পাপড়ি ফুটিয়ে নিন। এ বার তাতে নিম তেল ও টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে চুলে ও মাথার তালুতে স্প্রে করুন। কিছু দিনের মধ্যে খুশকির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
৩) অলিভ তেল আর গাঁদা ফুলের নির্যাস দিয়ে তৈরি প্যাকও চুলের জন্য বেশ ভাল। এটি আপনার চুলের প্রাকৃতিক জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করে। চুলে পুষ্টিরও জোগান দেয়। অলিভ তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও পলিফেনল থাকে। নিয়মিত ব্যবহারে চুল ঘন ও লম্বা হয়। অলিভ তেলের সঙ্গে গাঁদা ফুলের পাপড়ি ফুটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে ও মাথার তালুতে লাগালে খুশকির সমস্যা দূর হবে অল্প দিনেই।
৪) কলা, মেথির সঙ্গে গাঁদা ফুলের পাপড়িগুলিকে পিষে নিন। তাতে বাদাম তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা মতো রেখে শ্যাম্পু করে নিন। চুলের জেল্লা ফেরাবে এই হেয়ার প্যাক।
মাথার ত্বকে অনেক সময়েই সংক্রমণ হয়। প্রতি দিন বাইরে বেরোলে রাস্তার ধুলো, ধোঁয়া লেগে বা হেলমেট পরলে অনেক সময়ে মাথার ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, মাথার ত্বকে এই ধরনের সমস্যা সাধারণত আবহাওয়ায় আর্দ্রতা বেশি থাকলে হয়। স্যাঁতসেতে আবহাওয়ায় ভিজে চুল ভাল করে শুকোয় না। ফলে মাথার ত্বকে ব্যাক্টেরিয়াদের বাড়ন্ত হয়। মাথার ত্বকের সংক্রমণও কমাতে পারে গাঁদা ফুলের নির্যাস। নারকেল তেল বা অলিভ তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে উপকার পেতে পারেন