দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দূরপাল্লার ট্রেনযাত্রা মানে খাওয়াদাওয়া নিয়ে একরাশ চিন্তা। সঙ্গে ছোট বাচ্চা থাকলে তো কথাই নেই। তার জন্য যদি বা খাবার সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে, বড়দের তাও থাকে না। কিন্তু আড়াই বা তিনদিনের যাত্রায় কী খাবেন, তা নিয়ে ভাবতে তো হয়। প্যান্ট্রি কারে খাবার পাওয়া গেলেও মনমতো হয় না। খেয়ে না ভরে পেট, না ভরে মন। স্বাদ নিয়ে তো অনেক সময়ই নানা অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এবার আর ট্রেনযাত্রায় খাবার নিয়ে ভাবতে হবে না। খাঁটি বাঙালি পদই মিলবে ট্রেনের প্যান্ট্রি কারে। এই সুখবর শুনিয়েছে পূর্ব রেল (Eastern Railway)। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মনমতো খাবার পাবেন বাঙালি যাত্রীরা।
প্রাতঃরাশে (Breakfast) ব্রেড-ওমলেট বা টোস্ট নয়, আপনি চাইলে ট্রেনেই পেতে পারেন পরোটা, আলুর তরকারি বা বাড়ির মতো আটার রুটি, তরকারি, মিষ্টি। স্বপ্ন নয়, এটাই সত্যি হতে চলেছে। কলকাতার (Kolkata) হইহট্টগোল ছাড়িয়ে দূরের অচিনপুরে যাওয়ার পথে যদি দুপুরটা ট্রেনে কাটাতে হয়, তাহলে আপনার হাতের কাছে এসে যাবে ধোঁয়া ওঠা ভাত, সোনা মুগের ডাল, সরষে মাছ ও গরম গরম মাংসের ঝোল! শুধু কি তাই? চাইলে দই, মিষ্টিও পাবেন হাতের কাছে। এমনই ব্যবস্থা করছে পূর্ব রেল। আপনি নিরামিষাশী (Vegetarian) হলেও অসুবিধা নেই। চলন্ত ট্রেনে আপনার জন্য মিলবে ছানা কিংবা ধোঁকার ডালনা। মধ্যাহ্ন বা নৈশভোজ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে আর কোনও বাধা নেই।
দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড়সড় বিপ্লব এনেছে সেমি হাইস্পিড ট্রেন ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ (Vande Bharat Express)। দ্রুতগতির সঙ্গে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে যাত্রীদের একাধিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান এই ট্রেনের ইউএসপি। চালু হওয়ার পর থেকে বন্দে ভারতের যাত্রী সংখ্যাও কম নয়। খাবারদাবার অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় ভালো হলেও, একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া বাঙালির রসনাতৃপ্তির (Bengali Food) জন্য বিশেষ পদ এনে পরিষেবা আরও আকর্ষণীয় করতে চলেছে বন্দে ভারত।