দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কিছু কিছু বাচ্চা সারাদিন ধরে কেঁদে ভাসায়। তাই তাদের নিয়ে সকলেরই অভিযোগ থাকে। এমনকী তার বাবা-মাও বুঝতে পারে না যে ঠিক কী ভাবে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। আপনার মনেও কি সেই একই প্রশ্ন রয়েছে? সেক্ষেত্রে ঝটপট এই প্রতিবেদনটি পড়ে ফেলুন। তারপর সেই মতো ব্যবস্থা নিন। আশা করছি, তাহলে তার মনের গতিবিধি বদলে যাবে।
মন খারাপ আছে কি না খোঁজ নিন
অনেক বাচ্চাই মুখ ফুটে কোনও সমস্যার কথা বলে না। বরং তারা কেঁদেকেটে বাড়ি মাথায় তোলার কাজে ওস্তাদ। তাই সন্তান অনবরত কেঁদে চললে তার মনের খবর নিন। তার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটেছে কিনা তা জানার চেষ্টা করুন। আর যদি সত্যিই খারাপ কিছু ঘটে থাকে, তাহলে সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। ব্যস, তাতেই সন্তানের মুখে ফুটবে হাসি। এমনকী ধীরে ধীরে তার বদভ্যাসও শুধরে যাবে।
বুঝিয়ে বলুন
এই পৃথিবীতে চোখের জল ফেলে সত্যিই কিছু হাসিল করা যায় না। আর ছোট বয়সেই সন্তানকে এই শিক্ষায় আপনাকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাই আজই তার সঙ্গে কথা বলুন। তাকে মানসিকভাবে আরও লৌহকঠিন হওয়ার পরামর্শ দিন। হয়তো একদিনে সে আপনার কথার অর্থ বুঝবে না। তবে রোজ রোজ বলতে থাকলে সে একদিন আপনার কথা ধরে ফেলবে। আর তারপরই আপনি তার মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ করবেনই।
ঘরের পরিবেশ কেমন?
ছোটদের মনের উপর বাড়ির পরিবেশের বিরাট প্রভাব থাকে। তাই আপনাদের বাড়িতে যদি সবসময় চিৎকার চেঁচামিচি চলতেই থাকে, তাহলে সন্তান তো চোখের জল ফেলবেই ফেলবে। তাই সন্তানের ভুল শুধরে দেওয়ার আগে নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন করুন। ব্যস, তাহলেই আর এই সমস্যা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে হবে না। এমনকী সন্তানও একদম হেসেখেলে জীবন কাটাতে শিখে যাবে।
পাশে থাকুন
বাবা-মা পাশে থাকলে বাচ্চারা সব বাধা কাটিয়ে জীবনের পথে এগিয়ে যাবে। আর অন্যদিকে সে যদি নিজের বাড়িতেই অবহেলিত হয়ে দিন কাটায়, তাহলে তার মনে জন্ম নেবে হতাশা। তাই আজ থেকেই সন্তানের পাশে থাকা ব্রত নিন। এমনকী সন্তান ব্যর্থ হলেও তার মাথায় বটগাছের মতো ছাওয়া দিতে হবে। এই কাজটা করলেই তার চোখের জল থেমে যাবে। ধীরে ধীরে সে হয়ে উঠবে কনফিডেন্ট চাইল্ড।
সকলের সঙ্গে মিশতে শেখান
বাচ্চা সারাদিন ঘরে বসে থাকলে তো সে ঘ্যানঘ্যান করবেই। তাই তাদের অফুরন্ত এনার্জিকে সঠিক দিকে চালিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে সন্তানকে তার সমবয়সিদের সঙ্গে মিশতে দিন, খেলতে দিন। এই কাজটা করলেই দেখবেন অনায়াসে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তাই শুভ কাজে আজ থেকেই লেগে পড়ুন।