দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমানে হেডফোনের ব্যবহার অধিক। প্রায় প্রতি ব্যাক্তির কাছেই এটি নিত্যদিনের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। বাস, ট্রেন, মেট্রো – অধিকাংশ যাত্রীর কানেই হেডফোন। পরিসংখ্যান বলছে, বছরে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয় ট্রেনের ধাক্কায়। কমছে শ্রবণ ক্ষমতা। এমনকি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও কমতে থাকে।এমনকি মটর নিউরোনের মতো প্রবণতা বাড়ছে। এবার উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সাধারণ মানুষের সুস্থতায় হেডফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। নিম্নে উল্লেখিত হলো সতর্কতাগুলি!
১. অযথা ব্লুটুথ হেডফোন ব্য়বহার কমাতে হবে। খুব মৃদু আওয়াজে সারাক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করা উচিত নয়।
২. যদি কোনও কারণে হেডফোন ব্যবহার করতে হয় তবে শব্দমাত্রা ৫০ ডেসিবলের বেশি যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩. প্রতিদিন ২ ঘণ্টার বেশি হেডফোন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তবে কখনই একটানা হেডফোন ব্যবহার করা উচিত নয়।
৪. ভালো হেডফোন ব্যবহার করুন। যাতে অল্প ভলিউমেও ভালো শব্দ শোনা যায়।
৫. শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্ক্রিন টাইম কমাতে হবে। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে সকলের সঙ্গে মেলামেশা করার ক্ষমতা কমে যায় শিশুদের।
৬. শিশুরা এখন মাঠে খেলাধূলা করার সুযোগ পায় না। তাই তারা অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। শিশুদের অনলাইন গেমের প্রতি ঝোঁক কমাতে হবে।
৭. সোশাল মিডিয়া ব্যবহার কমাতে হবে। তার পরিবর্তে সময় দিন পরিবারকে। প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান।
৮. যেকোনও অনুষ্ঠানে গান বাজানো হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মাথায় রাখতে হবে শব্দমাত্রা যেন ১০০ ডেসিবলের বেশি না হয়।
৯. কানে শোনার সমস্যা হলেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
১০. শোনার সমস্যা তৈরি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো প্রয়োজনে হিয়ারিং এড ব্যবহার করতে হবে। না হলে মানসিক ভারসাম্য় বজায় রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে।