দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শর্তসাপেক্ষে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র পেয়েছে জোকা-তারাতলা মেট্রোকর্তৃপক্ষ। সব শর্ত পূরণ শেষে আসন্ন বড়দিনের আগে ব্যনিজ্যিক পরিষেবা চালু হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। পরিষেবা চালু হলেও আপাতত স্মার্ট কার্ড বা টোকেন ব্যবহার করে যাত্রীরা সফরের সুযোগ পাবেন না। তাঁদের জন্য কাগজের টিকিট ব্যবহার করা হতে পারে বলে খবর। কারণ, তারাতলা থেকে জোকার মধ্যে সাড়ে ছ’কিলোমিটার মেট্রোপথে থাকা ছ’টি স্টেশনেরএকটিতেও এখনও প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের পথে স্বয়ংক্রিয় গেট বসেনি।শুধু গেট বসানোই নয়, মেট্রো ব্যবস্থার সঙ্গে সেটির সংযুক্তিকরণ-সহ অন্যান্য কাজ মিটতে এখনও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের দেওয়া রিপোর্টেও স্বয়ংক্রিয় গেটের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। সমস্যা আঁচ করে মেট্রোকর্তৃপক্ষ ঠিক করেছেন, প্ল্যাটফর্মে ঢোকা-বেরোনোর পথে অনেক বেশি সংখ্যায় আরপিএফ কর্মী মোতায়েন করা হবে। তাঁরা যাত্রীদের বৈধতা খতিয়ে দেখবেন।
মেট্রো সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের স্মার্ট গেটগুলি পার্ক স্ট্রিটের মেট্রো ভবনেসার্ভারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ভাবে যুক্ত থাকে। কোন স্টেশন দিয়ে কত যাত্রী যাতায়াত করছেন, সেই হিসাব সেখানে ধরা পড়ে। জোকা-তারাতলা মেট্রোপথে গেট বসানোর পরে সেগুলির সঙ্গে মেট্রো ভবনের মূল সার্ভারের সংযোগ এবং সমন্বয় গড়ে তোলার বিষয়টিসময়সাপেক্ষ।
এই মেট্রোপথে ‘ওয়ান ট্রেন সিস্টেম’-এ পরিষেবা মিলবে। অর্থাৎ, একটি ট্রেন এক প্রান্তের স্টেশন থেকে ছেড়ে অন্য প্রান্তিক স্টেশনে পৌঁছনোর পরে আবার ফিরতি পথে ঘুরে আসবে। এই ব্যবস্থায় যাত্রীদের কতটাসাড়া পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় আছে মেট্রোর অন্দরেই। শুধু তাই নয় সিগনালিং ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ হয় নি। ফলে তড়িঘড়ি পরিসেবা চালু করলেও তা যাত্রীদের মন মতো হবে কী নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।