কলকাতা, ২ জুন : আনুষ্ঠানিকভাবে রিলায়েন্সকে কালিঘাট মন্দির কমিটি একটি বানিজ্যিক সংস্থার হাতে মন্দির সংস্কারের দায়-দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সরকারি সূত্রে এ খবর জানা যায়।
খুব শীঘ্রই মন্দিরের সংস্কারের কাজ শুরু হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই গোটা কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই একই সময়ের মধ্যেই মন্দিরের আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে স্কাইওয়াক করছে সেই কাজও শেষ করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী বছরের শুরুতেই এই মন্দির একদম নব কলেবরে হাজির হতে চলেছে কলকাতার বুকে।
মন্দির কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, ঐতিহ্য বজায় রেখেই মা কালীর গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিবমন্দির, কুণ্ডপুকুর থেকে শুরু করে মন্দিরের চাতাল, ভিতরে এবং বাইরের প্রাচীরসহ গোটা মন্দিরের ভোল বদলানো হবে। এর মধ্যে গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিবমন্দির ‘গ্রেড এ’ হেরিটেজের আওতাভুক্ত। সেক্ষেত্রে কলকাতা পুরনিগমের হেরিটেজ কমিটি ও রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন। তাই আপাতত মন্দিরের বাকি অংশের সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
কালী পুজোর পর মূল মন্দির তথা গর্ভগৃহের সংস্কারের কাজ হবে। বসবে ঐতিহ্যের সঙ্গে মানানসই নয়া টাইলস। পাশাপাশি রং-ও হবে। মন্দিরের পূর্ব প্রবেশদ্বার থেকে আদিগঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৫০ মিটার দীর্ঘ যে অ্যাপ্রোচ রোড রয়েছে, তারও সৌন্দর্যায়ন হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের দায়িত্ব এতদিন কলকাতা পুরনিগমের হাতে ছিল। ইতিমধ্যেই পুরনিগম মন্দিরের চাতাল, কুণ্ডপুকুরের সংস্কার করেছে।
তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনিগমের ধীর গতির কাজে অনেকেই ক্ষুব্ধ। তাই মুকেশ আম্বানির একটি সংস্থা যখন নিজে থেকেই মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এসেছে তখন মন্দির কমিটি আর তাতে আপত্তি জানায়নি। সেই সূত্রেই এবার থেকে কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের দায়িত্বে ওই বানিজ্যিক সংস্থা।