দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃকলকাতা হাই কোর্টে প্রাথমিকের বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি ‘চাকরি খেয়ে নিচ্ছেন’, এই অভিযোগ তুলে তাঁকে ঘিরে ধরে স্লোগান দেয় বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের একাংশ। এর পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ। এদিন তিনি শুনানি শেষের পর এজলাসে থেকে বেরনোর পরই বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁকে ঘিরে ধরে 'আপনি চাকরি খাচ্ছেন' বলে প্রতিবাদ জানাতে থাকে চাকরিহারাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, বিকাশ ভট্টাচার্যের কারণেই অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। তাঁকে ঘিরে স্লোগানও দেওয়া হয়। যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরিয়েও দেন তারা।
গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি! দলের তরুণ নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ''বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যর সঙ্গে আমার রাজনৈতিক বিরোধ আছে কিন্তু তাঁকে আইনজীবী হিসেবে সম্মান করি। চাকরি চুরি করল এসএসসি এবং সরকার। চুরির প্রমাণ পেয়েই হাইকোর্ট চাকরি বাতিল করল। একজন আইনজীবীকে ঘিরে বিক্ষোভের কারণ কী?'' তিনি এও প্রশ্ন তোলেন, যারা বিক্ষোভ করলেন তাঁরা কি শিক্ষক?
হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে গেছে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন। সোমবার শীর্ষ আদালতে এই মামলার একপ্রস্থ শুনানি হয়। যদিও তাতে হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি বাতিলের রায় বেরনোর পরই যারা চাকরি হারিয়েছেন তাঁরা বার্তা পেয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে। সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও চাকরিহারাদের উদ্দেশে জোরালো বার্তা দেন। বলেন, যে যোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন তারা যেন চিন্তা না করেন। রাজ্য সরকার, তৃণমূল দল তাদের সঙ্গে কোমর বেঁধে লড়াই চালাবে।
এই প্রসঙ্গে দুজনেরই দাবি, তৃণমূল সরকার চাকরি দেয় এবং বিজেপি-সিপিএম আদালতে গিয়ে চাকরি খায়।