দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সন্দেশখালির স্থানীয় বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি। মঙ্গলবারই তাঁকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল বসিরহাট আদালত। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাই কোর্টে আবেদন করেছেন মাম্পি।
সন্দেশখালি নিয়ে সম্প্রতি যে কটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তার মধ্যে একটিতে বিস্ফোরক দাবি করেছেন এক মহিলা। তিনি বলেছেন, সাদা কাগজে সই করিয়ে পরে সেখানে ধর্ষণের অভিযোগ লেখানো হয়েছিল। এবং তা করিয়েছিলেন পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাস। সন্দেশখালির আন্দোলনের অন্যতম মুখ এই মাম্পিকে তলব করেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার বসিরহাটের মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি। জামিন চাইলে তা তো মেলেনি, উল্টে মাম্পির জেল হেফাজতে হয়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেত্রী।
পিয়ালির আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
সন্দেশখালির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে মহিলাদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন রেখা পাত্র, মাম্পি দাসরা। কিন্তু ভোটের মাঝে সন্দেশখালি নিয়ে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর চাপ বাড়ে বিজেপির। সেইসব ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই সাজানো। পরে মিথ্যে মামলা তুলতে গেলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মাম্পিকে ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ।
বসিরহাট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন মাম্পি। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে তাঁকে ৭ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এলাকায় পিয়ালি ওরফে মাম্পি একজন বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত। ইতিমধ্যেই ভিডিও বিতর্কে বিজেপির চাপ বাড়াতে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগে তৃণমূল লিখেছিল, জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা সন্দেশখালিতে এসে সেখানকার মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়েছিলেন। যার সাহায্যে ‘ভুয়ো নির্যাতনের’ অভিযোগ দায়ের হয়। ওই কাজে রেখার সহযোগী ছিলেন পিয়ালিও, অভিযোগ তৃণমূলের