West Bengal

1 week ago

Dilip Ghosh : বামেদের ভোট চেয়ে তোপের মুখে দিলীপ

Dilip is under fire for seeking votes from the left
Dilip is under fire for seeking votes from the left

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রচারে বামেদের ভোট চাইলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এমন ইচ্ছাপ্রকাশে বাম-কংগ্রেস, তৃণমূলের সমালোচনার মুখে পড়তে হলো পদ্ম-প্রার্থীকে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তাঁর কু-মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভোটাররা।

মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরের আশিস মার্কেটে চায়ে পে চর্চায় দিলীপ বলেন, ‘বাম কংগ্রেসের ২২ শতাংশ ভোট আমরা পেয়েছিলাম। তাই গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে আমরা বহু আসন পেয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এবার মোদীজি চেয়েছেন ৩৭০টি আসন। তিনি কখনও কিছু চান না, শুধু দিয়ে থাকেন। আর মায়েদের কাছ থেকে আশীর্বাদ চান। মোদীজির হাত শক্ত করতে হবে। কংগ্রেস ও সিপিএমের বন্ধুদের বলব, মোদীর সঙ্গে থকুন। রং ও পার্টি পরে দেখব। আগে বাংলাকে দুর্নীতিমুক্ত করুন। পুরসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত ভোট আসবে, তখন আপনি আপনার ঝান্ডা নিয়ে লড়াই করুন।’

২০১৯-এর লোকসভা ও ২০১২১-এর বিধানসভায় বিজেপি এ রাজ্যে ১৮ ও ৭৭টি আসনে জয় পেয়েছিল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি ছিল, ওই দুই নির্বাচনে বামেদের ভোট রামে গিয়েছিল। এদিন সেই দুই নির্বাচনের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বামেদের ভোট চাইলেন দিলীপ। তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাবে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ তো এবার টিকিট পাচ্ছিলেন না। কোনও মতে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে টিকিট পেয়েছেন। এবার যে বামেদের ভোট রামে যাবে না, তা বুঝতে পেরে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ধরনের কথা বলে প্রচারে থাকতে চাইছেন।’

পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘গত লোকসভা নির্বাচনে এক জন যাযাবরকে ভোট দিয়ে দেখেছেন এখানকার মানুষ। তাঁকে পাওয়া যেত না। আর এক যাযাবর এসেছেন। এবার তাঁকে ভোট দেবে না কেউ। আর বামেদের ভোটও রামে যাবে না। দিলীপ ঘোষ গদা হাতে ঘুরছেন। ওই গদার ঘায়ে ওঁকে কুপোকাত করবেন এখানকার মানুষ।’

চুপ করে থাকেননি জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। বলেন, ‘রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তা স্পষ্ট। প্রথম দফার নির্বাচনের পর বিজেপি বুঝে গিয়েছে, ৪০০ তো দূর ৩০০ পার হবে না। আর দিলীপ ঘোষ বুঝতে পেরেছেন ওঁর হার নিশ্চিত।’

একইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে দিলীপ ঘোষের ধারাবাহিক কু-মন্তব্যেরও প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন অনেকেই। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জলে ডুবে মরার’ নিদান দেন দিলীপ ঘোষ। এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে স্টিল টাউনশিপের বাসিন্দা অজিতেশ রায় বলেন, ‘টিভির পর্দায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কটূক্তি করতে দেখেছি দিলীপ ঘোষকে। আজ নিজের কানে শুনলাম। তিনি ডাকাবুকো হতে পারেন কিন্তু, তাঁর মুখের ভাষা এত কদর্য কেন হবে?’

দুর্গাপুরের বাসিন্দা সমাজসেবী রণজিৎ গুহর মন্তব্য, ‘একজন মুখ্যমন্ত্রীকে জলে ডুবে মরতে বলছেন। এটা কী ধরনের ভাষা। যে শহরে দাঁড়িয়ে এই সব কথা উনি বলছেন, তার একটা সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রয়েছে। এই ধরনের কু-কথার ঘোরতর বিরোধী আমরা। তিনি প্রার্থী। নির্বাচনে জয়ী হলে কী কাজ করবেন সেসব বলুন, কু-কথা কেন বলবেন।’

You might also like!