দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :সোমবার মেয়ো রোড থেকে তৃণমূলের ভাষা-আন্দোলনের মঞ্চ উচ্ছেদ করেছিল সেনাবাহিনী, যা নিয়ে যথেষ্ট চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতেই নতুন সমস্যা দেখা দেয় সেনার বেপরোয়া গাড়ির কারণে। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে মহাকরণের সামনে দিয়ে সেনার একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে চলার অভিযোগ ওঠে, যা আটকে দেয় কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাক এবং সঙ্গে থাকা জওয়ান ও আধিকারিকদের হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সেনার ট্রাকের ঠিক পেছনে ছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার গাড়ি। পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, কমিশনারের নিরাপত্তার কারণে ট্রাকটি আটকে দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেনা কর্তৃপক্ষ বেপরোয়া গতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে, মহাকরণের সামনে থেকে গাড়িটি বাঁক নেয়ার সময়ই পুলিশ তা থামিয়েছে।
ঘটনা ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলায় ফোর্ট উইলিয়াম থেকে রওনা দিয়েছিল সেনাবাহিনীর একটি ট্রাক। গন্তব্য ছিল আয়কর ভবন। মহাকরণের সামনে ট্রাফিক আইন না মেনে গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল, এই অভিযোগে তা আটকায় ট্রাফিক পুলিশ। হেয়ার স্ট্রিট থানায় গাড়িটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের দাবি, সেনার ট্রাকটি এমন গতিতে ছুটছিল যে বাঁক নিতে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। তাই তা আটকানো হয়েছে। আর সেনার বক্তব্য, মহাকরণের সামনে ট্রাফিক সিগন্যাল খোলা থাকায় তাদের গাড়ি এগিয়ে গিয়েছিল, কোনও ভুল হয়নি। গোটা ঘটনা জানানো হয়েছে ফোর্ট উইলিয়ামে।
সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূলের ভষা আন্দোলন চলাকালীন আচমকাই মঞ্চ খুলে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান খোদ তৃণমূল নেত্রী। সেনা বিজেপির কথায় এমন কাজ করেছে বলে অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশকে না জানিয়ে মঞ্চ খোলা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে সেনা ও পুলিশের দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। আর মঙ্গলবার সেনার গাড়ি নিয়ে সংঘাত তৈরি হল।