দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রতিদিনের কাজের চাপে অনেকেরই ভালো করে খাবার খাওয়া হয়ে ওঠে না। তার উপর বাড়ে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা। এই সময়ে সুষম আহার গ্রহণ করা খুবই দরকারি। আর তার মধ্যে প্রথমেই আসে দুধ। আমাদের প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য বা দুধ রাখা উচিত।
অনেকে গরম দুধ খেতে পছন্দ করেন। কেউ আবার ঠান্ডা দুধ খান। কিন্তু জানেন কি কোনটি বেশি ভালো? বা কোনটি আপনার খাওয়া উচিত? এটি আমরা অনেকেই জানিনা। আসুন এ বিষয়ে ভালো করে জেনে নেওয়া যাক।
প্রতিনিয়ত দুধ পান করা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। এতে থাকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও পটাশিয়াম। এগুলি শরীরে পুষ্টি জোগায়। আর দুধ পান করার সময়ে গরম বা ঠান্ডা দু’রকম দুধেরই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেগুলি জেনে নেওয়া যাক।
গরম দুধ পান করার একটি সুবিধা হল এটি খুব সহজে হজম হয়ে যায়। আর আপনার যদি ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য হজমে অসুবিধা হয়, তাহলে আপনার কখনও ঠান্ডা দুধ খাওয়া উচিত নয়। এটি প্রথমেই মনে রাখতে হবে।
আপনার যদি স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকে তাহলে ঘুমোতে যাবার আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করা আপনার পক্ষে ভালো। দুধে আছে ট্রিপটোফ্যান নামে এক অ্যামিনো অ্যাসিড যা আপনাকে ভালোভাবে ঘুমাতে সাহায্য করবে।
পেটের অম্লতা বা অ্যাসিডিটি জনিত সমস্যার জন্য ঠান্ডা দুধ খুবই উপকারী। খাওয়ার পর আধ গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। ফলে যাঁদের এই জাতীয় সমস্যা হয়, তাঁরা ঠান্ডা দুধই খাবেন।
ঠান্ডা দুধ আপনার শরীরের জলের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম হয়। এছাড়া সকাল বেলা ঠান্ডা দুধ পান করার ক্ষেত্রে আদর্শ। তবে আপনার যদি সর্দি বা ফ্লুয়ের সমস্যা থাকে তবে এই ঠান্ডা দুধ পান করবেন না।
চিকিৎসকদের মতে, খুব বেশি গরম দুধ একটু এড়িয়ে চলা ভালো। এর পরিবর্তে হাল্কা গরম দুধ পান করা যেতে পারে। কারণ খুব বেশি গরম দুধে পেটের নানা সমস্যা হতে পারে।
ঠিক একই রকম ভাবে ফ্রিজ থেকে বার করা ঠান্ডা দুধ খাওয়া উচিত নয়। কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তবেই খাওয়া উচিত। তাহলেই তার পুরোপুরি উপকার পাবেন। নাহলে পাবেন না।