দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃমৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা আগে চটুল নাচ। রাতভর পার্টি। তারপর হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যজনক পোস্ট। এর ৪৮ ঘণ্টা পরেই বিহারের ভাগলপুরে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল জনপ্রিয় ভোজপুরি অভিনেত্রী অমৃতা পাণ্ডেকে। দিব্যাধাম অ্যাপার্টমেন্টে শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে সিলিং থেকে ঝুলছিলেন অমৃতা। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট না পেলেও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি রহস্যজনক পোস্ট লিখে যান মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে। এই বার্তার মধ্যেই তাঁর মৃত্যুর রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। বিহারের ভাগলপুরে এক বিয়েবাড়িতে এসেছিলেন তিনি। বিয়েবাড়ি কাটলেও রাতভর স্বামী ও বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে পার্টি করতে দেখা গিয়েছিল অমৃতাকে। এই পার্টিতে উদ্দাম নাচতেও দেখা যায় তাঁকে। তারপর ঠিক কী এমন ঘটেছিল যে ৪৮ ঘণ্টা পর জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মৃত্যুর দিন নিজের হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, 'ওর জীবন দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছিল। আমি আমার জীবনের নৌকা ডুবিয়ে ওর সফর সহজ করে দিয়ে গেলাম।' পরিবার-বন্ধুরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নায়িকা। তার জন্যে নিয়মিত চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন। অমৃতা পাণ্ডের মৃত্যুকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যাই বলেছে পুলিশ। তবে তদন্ত চলছে।
২০২২ সালে অমৃতা, ছত্তীসগড়ের বিলাসপুরের বাসিন্দা চন্দ্রমণি ঝাঙ্গাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। মুম্বইয়ে থাকতেন এই দম্পতি। অমৃতাকে ভোজপুরি অনেক সিনেমায় দেখা গিয়েছে। এমনকী বলিউডের বেশ কিছু সিনেমায় আইটেম নাচতেও দেখা গিয়েছে অমৃতা পাণ্ডেকে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ পরিচিত। কয়েক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে স্বামীর সঙ্গে মারামারি করতে দেখা গিয়েছিল অমৃতাকে।
অমৃতা পাণ্ডে ভোজপুরি সুপারস্টার খেসারি লাল যাদবের সঙ্গে দিওয়ানাপন ছবিতে কাজ করেছিলেন। অমৃতার সহকর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।