kolkata

1 month ago

Lok Sabha Election 2024:ভোটের আগে জনসংযোগ করতে নতুন পরিকল্পনা রাজ্যপাল বোসের,সন্দেশখালির জন্যও বিশেষ পদক্ষেপ

Governor CV Anand Bose
Governor CV Anand Bose

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ  পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় মানুষের অভিযোগ জানানোর জন‌্য ‘পিসরুম’ চালু করেছিলেন। এবার লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজভবনে একই উদ্দেশ্যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নব উদ্যোগ ‘লোকসভা’ পরিষেবা। নির্বাচনের সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ জন্য রাজ্যপাল ‘লোগ সভা’ পোর্টাল চালু করলেন। এই পোর্টালে যে কোনও নাগরিক নির্দিষ্ট একটি ইমেল আইডি মারফত রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। তাঁরা সেখানে তাঁদের অভিযোগ, অনুযোগের কথা সরাসরি জানাতে পারবেন।

রবিবার রাজভবনের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, logsabha.rajbhavankolkata@gmail.com-এ জনসাধারণ তাঁদের অভিযোগের কথা জানাতে পারবেন। তাঁরা যে কোনও বিষয়ে পরামর্শও দিতে পারবেন। রাজভবনের তরফ থেকে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই পোর্টালের জন্য এক জন নোডাল অফিসারকেও নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজভবন।

লোকসভা ভোটের আগে হিংসা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। তিনি পঞ্চায়েত ভোটের কথা মনে করিয়ে দিয়ে লোকসভা ভোটের জন্য সতর্ক করছেন রাজ্যবাসীকে। তাই হিংসা রুখতে গোটা রাজভবনকেই তিনি নামিয়ে আনতে চান বাংলার পথে। বাংলার ভোটে পাহারা দেবে ‘ভ্রাম্যমান রাজভবন’। পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি চান না রাজ্যপাল। এ বারের লোকসভা ভোট যাতে হিংসামুক্ত হয় এবং সকলে যাতে শান্তিভাবে ভোট দিতে পারেন, সেই দিকে লক্ষ্য রাখছেন তিনি।

লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণার দিনে আচমকাই হাওড়ার একটি বেসরকারি স্কুলে হাজিরও হয়েছিলেন রাজ্যপাল। পুলিশ-প্রশাসনকে আগাম খবর না দিয়ে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে রাজ্যপাল চলে গিয়েছিলেন মধ্য হাওড়ার বনবিহারী বসু রোডের ইংরেজিমাধ্যম স্কুলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, লঞ্চে চেপে প্রথমে রামকৃষ্ণপুর ঘাটে আসেন তিনি। সেখান থেকে টোটো চেপে পৌনে ১০টা নাগাদ স্কুলের গেটে পৌঁছে যান। স্কুলে ঢুকেই নোটিস বোর্ড দেখতে থাকেন প্রথমে। রাজ্যপাল জানান, তাঁর আসার উদ্দেশ্য একটাই— বাংলাকে নতুন ভাবে চেনা।

এদিকে, সন্দেশখালিতে শাহজাহান বাহিনীর হাতে দখল হয়ে যাওয়া জমিগুলিকে চাষযোগ‌্য করে রাজ‌্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ফেরতের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন নোনা জল ঢুকিয়ে ভেড়িতে পরিণত করা এই জমিগুলি কীভাবে ফের চাষযোগ‌্য করা যায়, তা ঠিক করতে এক বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছেন রাজ‌্যপাল। দলের অন‌্যতম সদস‌্য কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সচিব, কৃষি বিশেষজ্ঞ এস কে পট্টনায়েক জানিয়েছেন, এরকম প্রায় ২৫০টি প্লট প্রকৃত মালিকের হাতে ফেরত দেওয়া হয়েছে। সেই জমিগুলির উপরিতল এতটাই নোনা যে আগামী পাঁচ-দশ বছর সেখানে ফসল ফলানো অসম্ভব। এই সমস‌্যা সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।


You might also like!