দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃসরকার আসে, সরকার যায়। তাতে পুরুলিয়ার উপর কোনও প্রভাব পড়ে না। দীর্ঘ সময় ধরে এটাই অভিযোগ রাঢ় বাংলার এই জেলার মানুষের। একসময় এই জেলা ছিল মাও অধ্যুষিত। সেই ভিতি এখন নেই। কিন্তু উন্নয়ন আসেনি। ভোট আসে, ভোট যায়, মানুষ এই জেলায় আসে পলাশ দেখতে।
মাহাতো মুখে বরাবর আস্থা এই জেলার। এবার বড় দলের চার প্রার্থী মাহাতো। তবে কোচবিহারের পর দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়ারও এবার কাঁটা বাম-কংগ্রেসের। কংগ্রেস এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে নেপাল মাহাতোকে। পাল্টা এই কেন্দ্রে ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতোকে প্রার্থী করেছেন ফরওয়ার্ড ব্লক।
আসলে পুরুলিয়ায় ফরওয়ার্ড ব্লকের একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে। প্রায় ৩৭ বছর এই কেন্দ্রে তাদেরই সাংসদ ছিল। ২০১৪ সালে প্রথম পালাবদল। রুক্ষ পুরুলিয়ার মাটিতে ফোটে ঘাসফুল। মমতার হাত ধরে প্রথমবার সাংসদ হন মৃগাঙ্ক মাহাতো। পাঁচ বছর আগে মৃগাঙ্কের পতনে পুরুলিয়ায় ফুটেছিল পদ্মফুল।
এবার কুড়মিদের দাবিকেই এই জেলায় হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল। তাই বিধানসভায় হেরে যাওয়া শান্তিরাম মাহতোকে লোকসভায় তুলে এনেছেন মমতা। প্রচারে গিয়ে পুরুলিয়ার মানুষের কাছে উন্নয়ন বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
তবে রাজনৈতিক মহল মনে করে, পুরুলিয়া পুনরুদ্ধার করতে গেলে তৃণমূলকে এবার আদা-জল খেয়ে লড়াই করতে হবে। কারণ, ২০২১ বিধানসভা ভোটে ব্যাপক ভাবেই পরেছিল ২০১৯ লোকসভা ভোটের প্রভাব। তাই সাত বিধানসভার অধিকাংশ আসন এখন বিজেপির দখলে।