দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ওজন ঝরাতে চোখ বন্ধ করে ওট্সের উপর ভরসা রাখেন অনেকেই। রোগা হওয়ার ডায়েট ওট্স ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ। দই দিয়ে হোক কিংবা সব্জি দিয়ে খিচুড়ি, রোগা হওয়ার ডায়েটে ওট্সের জনপ্রিয়তা কম নয়। উপকারিতাও যথেষ্ট। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার ও নানা ধরনের খনিজ উপাদান। সবচেয়ে বড় কথা ওট্স একেবারেই ক্যালোরি নেই। প্রাতরাশে অনেকেই ওট্স খান, তবে শরীর চাঙ্গা রাখতে রাতে ভাত-রুটির বদলে ওট্সও খেতে পারেন। পুষ্টিবিদেরা সব সময় রাতে হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে ওট্স কিন্তু ভাল বিকল্প হতে পারে। রাতের খাবারে ওট্স দিয়ে কী কী সুস্বাদু খাবার বানাতে পারেন, রইল হদিস।
ওট্স পোলাও: তেলে জিরে, তেজপাতা, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি হালকা করে ভেজে নিন। এ বার গাজর, বিন্স, ক্যাপসিকাম দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন মিশিয়ে এক কাপ ওট্স দিয়ে দিন। খুব সামান্য জল ছিটিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। উপর থেকে লেবুর রস আর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ওট্স পোলাও।
ওট্স রেজ়োতো: কড়াইতে সামান্য মাখন গরম করে তাতে রসুন ফোড়ন দিয়ে ক্যাপসিকাম, পেয়াঁজ, মাশরুম, চিকেন আর সামান্য নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। তার পর তাতে ওট্স দিয়ে দিন। এ বার সামান্য জল দিয়ে দিন। ওট্স সেদ্ধ হয়ে এলে তার সঙ্গে দুধ, সামান্য পারমেজ়ান চিজ়, চিলিফ্লেক্স, অরিগ্যানো আর গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন ওট্স রেজ়োতো।
ওট্স উপমা: আধ কাপ ওট্স কোনও তেল বা ঘি ছাড়াই কড়াইতে সেঁকে নিন। সেঁকা হয়ে গেলে একটি প্লেটে ঢালুন। এ বার জল গরম করে কড়াইশুঁটি ও গাজর কুচি সেদ্ধ করে নিন। অন্য একটি কড়াইতে এক টেবিল চামচ ঘি দিন। ঘি গরম হলে তাতে গোটা সর্ষে, অড়হড় ডাল, কারি পাতা, কাঁচা লঙ্কা কুচি, হিং ফোড়ন দিন। এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন। পেঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে সেদ্ধ করা সব্জি আর নুন দিয়ে নাড়তে থাকুন। এ বার ওট্স মিশিয়ে তাতে ২ চামচ দই আর সামান্য জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। লেবুর রস আর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।