International

7 months ago

Indonesia Volcano: ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরি থেকে! বন্ধ বিমানবন্দর

Indonesia Volcano (File Picture)
Indonesia Volcano (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গত কয়েকদিনে পাঁচবার অগ্ন্যুৎপাত। আগ্নেরগিরির ছাইয়ের কারণে নিকটতম ইন্দোনেশিয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার জন্য বিমানবন্দরটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে পরিবহণ ন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে।

মাউন্ট রুয়াং থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মানাডো শহরের স্যাম রাতুলাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। আগ্নেলগিরির ছাই ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিমানের নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মানাডো অঞ্চলের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রক সম্প্রতি পাঁচবার অগ্ন্যুৎপাত হওয়া একটি আগ্নেয়গিরির কারণে নিকটতম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। বিমানের নিরাপত্তার জন্য বিমানবন্দর বন্ধ করার প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছে এয়ারপোর্ট অথরিটি।

বুধবার বিমানবন্দরের নিটকতম আগ্নেয়গিরি থেকে প্রচুর পরিমাণ অগ্ন্যুৎপাত হয়। লাভা, ভাস্বর, শিলা এবং ছাইয়ের জ্বলন্ত লাল কলাম আকাশে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োগুলি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা গেছে একজন প্রত্যক্ষদর্শী চিৎকারকরে বলছেন, ‘আমরা দৌড়চ্ছি, বন্ধুরা’, জ্বলন্ত লাভার গোলা থেকে বাঁচতে প্রত্যক্ষদর্শীদের ছুটে পালাতে দেখা গেছে।

আগ্নেয়গিরির ঘনঘন অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ৪০০ জনেরও বেশি লোকককে অ্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আরো বিস্ফোরণের সম্ভাবনা এখনো রয়েছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকা দরকার বলে এক এজেন্সির এক কর্মকর্তা জনিয়েছেন।

আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের সময় উড়ে আসা পথর ও ছাই পড়ে কাছাকাছি থাকা বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আগ্নেয়গিরির নিকটতম হাসপাতালগুলি খালি করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

ইন্দোনেশিয়াররাজধানী মানাদোর বিমানবন্দরটি অগ্ন্যুৎপাত থেকে ছাইয়ের ঝরণা থেকে রক্ষা করার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এয়ার এশিয়া একই কারণে পূর্ব মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের প্রায় নয়টি ফ্লাইট বাতিল করেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সতর্কতা হিসেবে আগ্নেয়গিরির চারপাসে একটি ছয় কিলোমিটারস্থান পর্যন্ত ঘিরে রেখেছে। একইসঙ্গে পার্শ্ববর্তী দ্বীপ তাগুলানডাং থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে। একটি দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারী জানিয়েছেন, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে প্রায় ১৫০০ লোককে অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। আরও ১২ হাজার লোকের উফর প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অগ্ন্যুৎপাতের ফলে পাহাড়ের কিছু অংশ নীচেরসাগরে ধসে পড়লে সুনামির সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

You might also like!