kolkata

1 week ago

KOlkata news :অসমে অপহৃত কলকাতার চিট ফান্ড ব্যবসায়ী,তদন্তে লালবাজার

Kolkata chit fund trader kidnapped in Assam, Lalbazar under investigation
Kolkata chit fund trader kidnapped in Assam, Lalbazar under investigation

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কলকাতার এক ব‌্যবসায়ীকে অসমে (Assam) ‘অপহরণ’। কলকাতায় ওই ব‌্যক্তির আত্মীয়দের ফোন করে এক কোটি টাকা ‘মুক্তিপণ’ দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ব‌্যাপারে কড়েয়া থানায় একটি অপহরণের অভিযোগও দায়ের করা হয়। ওই ব‌্যক্তিকে উদ্ধার করার জন‌্য অসম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

অভিযোগে জানানো হয়েছে, অপরিচিত নম্বর থেকে তাদের বাড়িতে ফোন করে ওই ব্যক্তির মুক্তিপণ হিসেবে এক কোটি টাকা দাবি করা হচ্ছে ৷ ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, যদি পুলিশকে জানানো হয়, সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীর প্রাণ সংশয় হতে পারে ৷

এরপরই তদন্ত নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ সূত্রের খবর, কলকাতার ওই ব্যবসায়ী অসমে গিয়ে চিটফান্ডের ব্যবসা খুলে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন খাতে টাকা বিনিয়োগ করতে বলেন ৷ কিন্তু ওই ব্যবসায়ীরা সময়মতো তাঁদের দেওয়া টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ ৷ এদিকে অপহৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ীরাই তাঁকে আটকে রেখেছে ৷ তাঁরাই মুক্তিপণের দাবি করছে ৷ ইতিমধ্যে অসম পুলিশের সঙ্গে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার গোয়েন্দারা যোগাযোগ করেছেন ৷

অপহরণকারীরা যে নম্বর থেকে ফোন করেছে, সেই মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করা হয়েছে ৷ তাতে জানা গিয়েছে, অসমের শিলচর এবং গুয়াহাটি লোকেশন থেকে অপহরণকারীরা ফোন করেছিল । সেইমতো সেখানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে অসম পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার গোয়েন্দারা ৷ এই বিষয়ে লালবাজারের কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক মন্তব্য করতে চাননি ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্তে লালবাজারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে ৷ সেই দলটি শিলচর ও গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রওনা হবে ৷ পাশাপাশি অসম পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ৷ অসম পুলিশ কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছে বলেই জানা গিয়েছে ৷

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চাধিকারিক বলেন, "সামনে লোকসভা নির্বাচন ৷ এমনিতেই কলকাতা পুলিশে বাহিনীর সংখ্যা কম ৷ তার মধ্যে নির্বাচনের চাপ ৷ বিভিন্ন থানার বিভিন্ন পুলিশ আধিকারিকদের বাইরে পাঠাচ্ছে কমিশন ৷ এমনকী ট্রাফিক বিভাগ থেকেও পুলিশ কর্মীদের বাইরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ আবার একজন ব্যবসায়ীকে বাইরের রাজ্যে অপহরণ করা হয়েছে ৷ এই বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুগম্ভীর ৷ সেক্ষেত্রে বাহিনীর সংখ্যা কম থাকায় তদন্তে ভাটা পড়তে পারে ৷"


You might also like!