kolkata

3 weeks ago

Firhad Hakim:কলকাতাতেও জলের আকাল! সতর্ক করলেন মেয়র

Firhad Hakim requested everyone to stop wastage of water
Firhad Hakim requested everyone to stop wastage of water

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দৈনিক মাথাপিছু ১৫০ লিটার জলেই কাজ চলে যেত কলকাতাবাসীর। কিন্তু রেকর্ড ভাঙা গরমে সে চাহিদা এখন তিনগুণ। কেউ দিনে তিনবার স্নান করছেন। দরদর করে ঘেমে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেকটাই বেশি জল খেতে হচ্ছে শহরবাসীকে।তাই কলকাতার বাসিন্দাদের জলের অপচয় বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার জল বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, জল অপচয়ের বিষয়ে সাধারণ বাসিন্দারা সতর্ক না হলে কলকাতা খুব শিগগিরই জলসঙ্কটে পড়বে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমি হাতজোড় করে শহরবাসীকে অনুরোধ করছি আপনারা জল অপচয় বন্ধ করুন। না হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে।’

সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে যা শহরের কোথাও জল সরবরাহ ব্যাহত না-হয়, সে জন্য কলকাতা পুরসভার জল বিভাগের কর্তাদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে গরমের জন্য শহর লাগোয়া হুগলি নদিতে হু-হু করে নামছে জলস্তর। এই হুগলি নদির উপরেই কলকাতা শহরের জল উৎপাদন ব্যবস্থা পুরোপুরি নির্ভরশীল। এই নদী থেকেই পুরসভা প্রতিদিন গড়ে ৩০ মিলিয়ন গ্যালন পরিশোধিত পানীয় জল উৎপাদন করেন। গড়ে একজন শহরবাসী ১৫০ লিটার জল ব্যবহার করেন।

গরমে জল ব্যবহারের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে অন্তত তিন গুণ। ফলে জলের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হচ্ছে। চাহিদা আর ভারসাম্য বজায় রাখতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারদের। এই সঙ্কটের অন্যতম কারণ জলের অপচয়। পাশাপাশি তীব্র গরমের জন্য নদীতেও কমছে জলস্তর।

পুরসভার জল বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, বাড়িতে জলের ওভারহেড ট্যাঙ্ক থেকে ওভার-ফ্লো, বাড়ির নীচের রিজ়ার্ভার থেকে জল উপচে পড়া, বাথরুমে কলের মুখ ঠিক করে না-আটকানোয় বিন্দু বিন্দু জল পড়ে যাওয়া, রাস্তার পাশে স্ট্রিট কল থেকে অনবরত জল পড়ে যাওয়ার কারণে শহরের জন্য উৎপাদিত মোট জলের প্রায় ২০ শতাংশ অপচয় হয়ে থাকে।

গরমে শহরের একজন বাসিন্দা দিনে একবার স্নানের জায়গায় একাধিকবার স্নান করে থাকেন। এই অতিরিক্ত জলের ব্যবহারেও উৎপাদিত জলের বড় পরিমাণ জল খরচ হয়ে যাচ্ছে। কলকাতা পুরসভার জল বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘শহরের বাসিন্দারা যদি বাড়ির ওভারহেড ট্যাঙ্ক, রিজ়ার্ভার এবং বাড়ির কল খোলা এবং বন্ধের বিষয়ে একটু সতর্ক হন, তা হলেই আমরা যে পরিমাণ জল অপচয় হয়, তার অনেকটা বাঁচাতে পারি। আর সাবধান না হলে আগামী দিনে বড় জলসঙ্কটের মুখে পড়বে কলকাতা।’


You might also like!