দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গরম পড়তেই বাজারে আমের ছড়াছড়ি। আচার, চাটনি কিংবা মোরব্বার জন্য এত দিন কাঁচা আমের খোঁজ চলছিল। জৈষ্ঠ্য পড়তেই শুরু হয়েছে হিমসাগর, ল্যাঙড়া, গোলাপখাস, আম্রপালি আমের খোঁজ। তবে যাঁদের রক্তে শর্করা বাড়তির দিকে, তাঁদের জন্যে পাকা আম বিপজ্জনক হয়ে উঠতেই পারে। তাই অনেকেরই ধারণা পাকার চেয়ে কাঁচা আম খাওয়া চলতে পারে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পাকা এবং কাঁচা— দু’ধরনের আমেরই পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই পরিমিত পরিমাণে কাঁচা আম কিংবা পাকা আম খাওয়া যেতেই পারে।
কাঁচা আম না কি পাকা আম?
কাঁচা আমের স্বাদ টক। আর পাকা আম মিষ্টি। দু’ধরনের আমের পুষ্টিগুণও দু’ধরনের। কাঁচা আম যেমন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা ত্বক এবং চুলের জেল্লা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। আবার, পাকা আমের মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। এই উপাদানটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। বয়সজনিত সমস্যাও রুখে দিতে পারে। তবে, পাকা আমে যে হেতু শর্করার পরিমাণ বেশি, তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
পাকা না কি কাঁচা, কী ধরনের আম স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল?
১. কাঁচা আমে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি। তাই রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আম খাওয়াই ভাল।
২. আবার, পাকা আমে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। সে ক্ষেত্রে কাঁচার তুলনায় পাকা আম বেশি স্বাস্থ্যকর।
৩. পাকা এবং কাঁচা, দু’ধরনের আমেই ফাইবার রয়েছে। তবে, কাঁচা আমে ফাইবার একটু হলেও বেশি।