দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :গাছগাছালির যত যত্ন করা হোক না কেন, যদি পরাগ সংযোগ না হয় তাহলে ফুল আর ফলের সংখ্যা কমতেই থাকে। বীজ এবং ফল গঠনের জন্য মূল বিষয় হলো পরাগায়ন। সাধারণত মৌমাছি, পাখি, প্রজাপতি ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ এই কাজটি করে থাকে। তাই বাগানে তাদের আসা-যাওয়া ফুলের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যকর ফলন নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনেক বাগানে পাখি কম দেখা যাচ্ছে, প্রজাপতিরও উপস্থিতি কম। এর পিছনে কী কারণ থাকতে পারে?
কীটনাশক: গাছের পোকা মারতে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করেন? তার মাত্রা বেশি হলে গাছের যেমন ক্ষতি হতে পারে, তেমনই উপকারী পতঙ্গ, কীটও কমে যেতে পারে। চেষ্টা করা দরকার, রাসায়নিকের বদলে জৈব পদার্থের ব্যবহারে কীট নাশ করা যায় কি না। রাসায়নিকের প্রয়োগ করলে করতে হবে নিয়ম মেনে।
উপযুক্ত পরিবেশ: পরাগ সংযোগকারী পাখি, প্রজাপতি, পতঙ্গের উপযোগী পরিবেশ থাকাও জরুরি। টাটকা জল বাগানে রাখলে তারা আসতে পারে। বিশেষত গরমের দিনে জল খেতেই পাখি আসতে পারে।
বাসস্থান: বিভিন্ন কীটপতঙ্গ, প্রজাপতি, মৌমাছির বেড়ে ওঠা, আশ্রয় নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিবেশের দরকার। বাগানে উপযোগী আশ্রয় না পেলে, ফুল না পেলে তাদের আনাগোনা কমতে পারে।
কোন গাছ: বাগানে এমন অনেক গাছ থাকে, যা মৌমাছি, প্রজাপতিদের পছন্দই নয়। তাদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন গাছ রাখা দরকার।পুদিনা-সহ বেশ কিছু গাছ আছে, যার গন্ধে পরাগরেণু বহনকারী কীটেরা আসতে চায় না।
কী ভাবে পাখি-মৌমাছির আনাগোনা বৃদ্ধি পাবে?
বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বসাতে হবে। কোনও প্রজাতির একটি গাছের বদলে অন্তত তিন-চারটি গাছ পাশাপাশি রাখলে পরাগরেণু বহনকারী পাখি, পতঙ্গেরা বেশি আকৃষ্ট হবে। বাগানে পরিষ্কার জল, ফলের গাছ রাখলেও ফল মিলবে। প্রজাপতি যে ধরনের গাছে ডিম পাড়ে, সেই ধরনের গাছের সংখ্যা বাড়াতে পারেন।