দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চাইছে বাংলাদেশ। এইজন্য ব্যবহার করা হবে ভারতের মাটি। এই জলবিদ্যুৎ নিয়ে আসতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনাও করেছে বাংলাদেশ। কী ভাবে এই কাজ করা যাবে তা নিয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে সঙ্গে আলোচনা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি আসেন দুজনেই। সেখানেই রবিবার বাংলাদেশ এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়।
দরকার ত্রিপাক্ষিক চুক্তি
বাংলাদেশ চাইছে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ নিয়ে যেতে। এই নিয়ে দুদেশের মধ্যে আগেও কথা হয়েছে। ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনরায় জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। রবিবারই, তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সন্ধ্যায় সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগেই ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
তখনই এই বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে কথা হয় তাঁদের মধ্যে। ওই আলোচনার পরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে আগ্রহী। এই কথাই ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে আবার জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগেকে জানিয়েছেন যে এই জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তির প্রয়োজন। ওই বিদ্যুৎ আসবে ভারতের মাটি ব্যবহার করে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ।’
বহুমুখী সম্পর্ক
ভারতের মতই ভুটানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক আছে ভুটানের। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান। তাই ভুটান বাংলাদেশের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে বলেও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। ভুটানকে সব ধরনের সাহায্য করতেও প্রস্তুত তাঁরা বলেও জানিয়েছেন হাসিনা।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসেই বাংলাদেশ এসেছিলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। সেই সময়ে থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা সহ আরও কয়েকটি বিষয়ে চুক্তি হয়। রবিবারের বৈঠকে, তোবগেকে হাসিনা কুড়িগ্রামে দেওয়া জায়গার যথার্থ ব্যবহারের ওপর জোর দেন এবং তিনি আশা করেন ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশে ভুটানের বিনিয়োগও চাইছেন হাসিনা। হাছান বলেন, ‘এই সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দুদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুদেশই বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করেছে।’