দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :নুন রান্নার একটি অপরিহার্য উপাদান। তবে এর পরিমাণ নিয়ে ভুল হলেই বিপদ—অতিরিক্ত হলে যেমন ক্ষতিকর, তেমনই কম হলে খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। অনেকের আবার অভ্যাস আছে পাতে আলাদা করে কাঁচা নুন নিয়ে খাওয়ার। ফুচকা খেতে গেলেও আলুর পুরে বাড়তি নুন চাই—এমন দৃশ্য অচেনা নয়। আসলে শরীরের জন্য সোডিয়াম একটি প্রয়োজনীয় উপাদান, যা আমরা প্রতিদিনের খাবারের মাধ্যমেই পাই। কিন্তু এরও একটি সঠিক সীমা রয়েছে। অতিরিক্ত নুন খেলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, যা রক্তচাপ বৃদ্ধির প্রধান কারণগুলির মধ্যে অন্যতম। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে রক্তনালীর উপর চাপ বাড়তে থাকে, আর সেখান থেকেই স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন নুনের মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে আরও বেশ কিছু গুরুতর রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। দেখে নিন, সেই সব রোগের তালিকা।
১. জল তেষ্টা বাড়িয়ে দেয়: অতিরিক্ত নুন খেলে জল তেষ্টা বেড়ে যায়। তাতে শরীরের ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। শরীর ভাল রাখতে গেলে জল খাওয়া প্রয়োজন। তবে তার নির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে। সারা দিনে ৭ থেকে ৮ গ্লাস অর্থাৎ, ৩ থেকে ৪ লিটার জল খাওয়াই যথেষ্ট বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। তার থেকে বেশি জল খেলেই কিডনি বা লিভারের মতো অঙ্গের উপর চাপ পড়ে।
২. কিডনির সমস্যা: শরীরে তরলের মাত্রা ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কিডনি। অতিরিক্ত নুন খেলে শরীরে তরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির উপর চাপ পড়তে থাকলে তা বিকল হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
৩. ওয়াটার রিটেনশন: অতিরিক্ত নুন খেলে শরীরে তরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই অতিরিক্ত তরলই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জমতে শুরু করে। পায়ের পাতা, গোড়ালি বা হাতের বেশ কিছু অংশে ফোলা ভাব দেখা যায়। সেখান থেকে প্রদাহ বাড়তে পারে।
৪. বার বার প্রস্রাবের প্রবণতা: রোজ বেশি মাত্রায় নুন খেলে কিন্তু প্রস্রাবের সমস্যা বেড়ে যায়। ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়াও মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
৫. অস্টিয়োপোরোসিস: অতিরিক্ত নুন খেলে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। মাত্রাতিরিক্ত নুন খেলে শরীরে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। হা়ড়ের জন্যে প্রয়োজনীয় ক্যালশিয়াম প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। ফলে হাড় সহজেই ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।