দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আট থেকে আশি—অ্যালার্জির ঝুঁকি থেকে কেউই পুরোপুরি মুক্ত নন। এটি একদিকে যেমন একটি রোগ, তেমনই অনেক সময় অন্য রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা দিতে পারে। ত্বকে অ্যালার্জি আমরা প্রায়ই দেখি, কিন্তু চোখ, শ্বাসনালী কিংবা খাদ্যনালীর মতো সংবেদনশীল অঙ্গে অ্যালার্জি হলে তা মারাত্মক রূপ নিতে পারে। সঠিক কারণ চিহ্নিত করা গেলে অ্যালার্জির উপযুক্ত চিকিৎসা সম্ভব। তবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে অনেকটাই নিরাপদ থাকা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এনে এবং বিশেষ কিছু খাবার নিয়মিত খেয়ে অ্যালার্জির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া সম্ভব। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই ৫টি খাবার রাখলে আপনি সহজেই সুস্থ ও অ্যালার্জিমুক্ত থাকতে পারেন।
(১) ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি: ভিটামিন-সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি হিস্টামিন নামক রাসায়নিকের নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। এই হিস্টামিনই অ্যালার্জির উপসর্গ তৈরি করে।
খাবার: আমলকী, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি প্রভৃতি।
(২) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, বিশেষ করে EPA এবং DHA, শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতেও কার্যকর।
খাবার: স্যালমন, টুনা, ম্যাকেরেল বা অন্যান্য তৈলাক্ত সামুদ্রিক মাছ এবং উদ্ভিজ্জ উৎস হিসেবে আখরোট ও ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ)।
৩. প্রোবায়োটিকস: প্রোবায়োটিক হল উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে। অ্যালার্জি প্রতিরোধে অন্ত্রের সুস্থতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করে।
খাবার: টক দই, কেফির, বাটারমিল্ক।
৪. কুয়ারসেটিন যুক্ত খাবার: কুয়ারসেটিন হল এক ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-হিস্টামিন হিসেবে কাজ করে এবং অ্যালার্জির কারণে হওয়া প্রদাহ কমায়।
খাবার: পেঁয়াজ (বিশেষত লাল পেঁয়াজ), আপেল (খোসা সহ), আঙুর, বেরি, ব্রকোলি, গ্রিন টি।
৫. হলুদ: হলুদে থাকা প্রধান সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন। এটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অ্যালার্জিক। এটি অ্যালার্জির প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে পরিচিত।
খাবার: কাঁচা হলুদের সঙ্গে চারটি গোলমরিচের দানা মিশিয়ে খালিপেটে খান।
এই খাবারগুলো অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাসে সহায়ক হতে পারে, তবে এগুলো চিকিৎসার বিকল্প নয়। আপনার বা আপনার সন্তানের যদি তীব্র অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।