দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বিশ্ব ফুটবলে তার জায়গা টা ঠিক তা রবিবারের রাতে লুসেইলে আত্রো একবার দেখিয়ে দিলেন ২৩ বছরের তরুন কিলিয়ান এমবাপে। গত বার বিশ্বকাপের ফাইনালে করছিলেন একটি গোল। দেশ জিতেছিল বিশ্বকাপ। এ বারের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। ১৯৬৬ সালের ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্টের পরে দ্বিতীয় বার কোনও ফুটবলার ফাইনালে এই কীর্তি করলেন। দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত ফুটবল খেললেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না , ব্যাক টু ব্যাক বিশ্ব জয়ের ধারায় ছেদ পড়ল। চোখে জল নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল তাকে।
জয়ের নায়ক হয়ত হতে পারলেন কিলিয়ান কিন্তু তার এই খেলা মানুষ বহুদিন তার মনিকোঠায় তুলে রাখবে। আগামী সময়ে যখনই মেসির বিশ্ব জয়ের কথা মানুষ মনে করবে সাথে অবশ্যই কিলিয়ানের এই অনবদ্য প্রয়াসকে মানুষ কুর্নিশ জানাবে। এ বারের বিশ্বকাপে ৮ গোল করে সোনার বুট এমবাপের দখলে। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার আগে তিনি প্রত্যেক কে বুঝিয়ে দিলেন, আগামী দিনে বিশ্ব ফুটবলে তার অবদান কী হতে চলেছে।
প্রথমার্ধে এমবাপেকে আটকে রেখেছিল আর্জেন্টিনা ,আর্জেন্টিনার চতুর কোচ লিয়োনেল স্কালোনি এমবাপের গতি কে প্রতিরূদ্ধ করার জন্য মোলিনা ও ম্যাক অ্যালিস্টারকে রেখেছিলেন। ফলে বার বার আটকে যাচ্ছিলেন তিনি। ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশঁ অলিভিয়ের জিহুকে তুলে নেওয়ায় প্রধান স্ট্রাইকারের ভূমিকায় চলে যান এমবাপে। ফলে আরও বেশি নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলা যত গড়াল তত ম্যাচে দাপট দেখাতে শুরু করলেন এমবাপে।নিজের পছন্দের জায়গায় খেলা শুরু করতেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন তিনি। বক্সের মধ্যে ওটামেন্ডি ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। জোরালো শটে গোল করেন এমবাপে। দু’মিনিট পরেই বক্সের মধ্যে থেকে ডান পায়ের দুরন্ত শটে ফ্রান্সের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপে। চলন্ত বলে তিনি যে শট নিলেন তা এই প্রতিযোগিতার সেরার সেরা ছিল। অতিরিক্ত সময়ে মেসির গোলে আর্জেন্টিনা আবার এগিয়ে গেলে মনে হচ্ছিল ফ্রান্সের হার নিশ্চিত। কিন্তু তখনও মাঠে ছিলেন এমবাপে। বক্সের বাইরে থেকে গোল লক্ষ্য করে শট মারেন তিনি। বক্সের মধ্যে সেই বল পারেদেসের হাতে লাগায় পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। আরও এক বার পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপে। সেই সঙ্গে মেসিকে টপকে বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি ৮ গোল হয়ে যায় তাঁর। কিন্তু তার পরেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারল না ফ্রান্স। টাইব্রেকার থেকে এমবাপে আবার গোল করলেও তাঁর দলের দুই সতীর্থের শট বাঁচিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস।
তবে কাল তিনি যে দাপটে খেলেছেন তা আরো একবার প্রমান করে দিল ভবিষ্যতের বিশ্বফুটব্লে তার ই দাপট দেখতে চলেছে গোটা বিশ্ব।