নয়াদিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর : বিশ্বকাপ জয়ের পর একাধিক বিতর্কে জড়ালেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক তথা গোলরক্ষক এনমিলানো মার্টিনেজ । প্রথমত সোনার গ্লাবস উপহার পাওয়ার পর যে ভঙ্গিমায় এমি মার্টিনেজ সেটি নিয়ে সেলিব্রেট করলেন, তাতে বিশ্বজোড়া সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। নেটদুনিয়ার একটা বড় অংশ বলছে, মার্টিনেজ অমনটা না করলেও বোধ হয় পারতেন। এরপর ড্রেসিংরুমে গোটা আর্জেন্টিনা দলের বিশ্বজয়ের উদ্দাম সেলিব্রেশনের এর মাঝেই মার্টিনেজ সবাইকে থামিয়ে দিয়ে এমবাপের জন্য এক মিনিটের নীরবতা পালনের আহ্বান করেও বিতর্কে জড়ান।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার জয়ের অন্যতম নায়ক গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ । রেগুলেশন টাইমে অনবদ্য একটি সেভ করেন। না হলে ম্যাচে টাইব্রেকারে গড়াত না। পেনাল্টি শ্যুট আউটে ফ্রান্সের গোল রুখে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক হয়ে উঠেছেন এমিলিয়ানো। বিশ্বকাপে অনবদ্য পারফরম্যান্সে জিতেছেন সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। গোল্ডেল গ্লাভস পুরস্কার নেওয়ার সময় অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গী করতে দেখা যায় তাঁকে। টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক হিসেবে পোডিয়ামের উপর দাঁড়িয়ে গোল্ডেন গ্লাভসটি নিজের কুঁচকির কাছে চেপে ধরে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী করতে দেখা যায় তাঁকে। আর তা নিয়েই বিতর্কও। এই কাজের জন্য ফিফা তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপও নিতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকেই।
এর পর ড্রেসিংরুমের একটি ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, বিশ্বজয়ের পর ড্রেসিংরুমে উদ্দাম সেলিব্রেশনে মেতেছে গোটা আর্জেন্টিনা দল। ফুটবলাররা রীতিমতো উন্মত্ত। এর মাঝেই মার্টিনেজ সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বলে দেন, চল সকলে মিলে এমবাপের জন্য এক মিনিটের নীরবতা পালন করি! কয়েক মুহূর্তের জন্য গোটা ড্রেসিং রুম শান্ত হয়ে যায়। এমির ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর সতীর্থরা নীরবতা পালন অবশ্য করেননি। তাঁদের দেখা যায় ফের আগের মতো ছন্দে নেচেকুঁদে বেড়াতে। কিন্তু যে ভঙ্গিমায় এমবাপের জন্য নীরবতা পালন করার কথা বলেছেন, আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক, সেটা রীতিমতো বিতর্কিত।
আসলে এমবাপের সঙ্গে মার্টিনেজের বিবাদ পুরনো। কিছুদিন আগে পিএসজির সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর পর সাংবাদিক সম্মেলনে এমবাপে বলেছিলেন, গত কুড়ি বছর বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শুধু ইউরোপ। কারণ ক্লাবের হয়ে তো বটেই, আন্তর্জাতিক স্তরেও আমরা সারা বছর কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলি। সেই কারণেই আমরা এগিয়ে থাকি। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সেই লড়াইটা লড়ে কোথায়?” তরুণ ফরাসি ফরওয়ার্ডের সেই মন্তব্যে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিল গোটা লাতিন আমেরিকা। জ্বলে উঠেছিলেন এমি নিজেও। বিশ্বজয়ের পর সম্ভবত সেই মন্তব্যের জন্যই এমবাপের উপর রাগ মেটালেন মার্টিনেজ।