দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী এ বছরের সরস্বতী পুজো। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষে বিদ্যাদায়িনীর আরাধনায় মেতে উঠবেন আপামর বাঙালি। শ্বেতশুভ্রার আরাধনায় এক উপাদান বহু যুগ ধরে ব্যাবহার করা হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম একটি হল পলাশ ফুল।
এই ফুল অনেক জায়গায় তেসু নামেও পরিচিত। পলাশ ফুলের ঔষধি গুণ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। পলাশ গাছের ফুল, বীজ এবং শিকড় থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়। এবং পৌরাণিক কাল থেকেই আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পলাশ ফুল, সরস্বতী পুজোর অন্যতম প্রধান উপচার। তবে একথা কারোও অজানা নয় যে ঋতুমতী নারীরাই একমাত্র গর্ভধারণে সমর্থ। আর পলাশ ফুল হয় রক্তবর্ণ। ঋতুমতীর রজোদর্শনের রংয়ের মতন। সেজন্য কথিত রয়েছে, ঋতুমতীর প্রতীক হিসেবে শ্বেতশুভ্রা দেবী হয়ে উঠেছেন ‘পলাশ প্রিয়া’। তবে একটা কথা জেনে রাখা ভাল, পলাশ পাতা আজও বন্ধ্যাত্ব দূর করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো লাল মাটি অধ্যুষিত অঞ্চলে পুত্রসন্তান লাভের জন্যে মহিলারা পলাশপাতা বেটে খেয়ে থাকেন।