দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- আগামী ২রা অক্টোবর মহালয়া
তথা দেবীপক্ষের শুভারম্ভ। আর এই দেবীপক্ষেই পূজিতা হন মহিষাসুরমর্দিনী দেবীদুর্গা।
কিন্তু দেবীপক্ষ নয়, পিতৃপক্ষেই এই বাড়িতে হয় দুর্গা পুজো।
পুরুলিয়ার পঞ্চকোট রাজ পরিবারে শুরু হয় শিখরবাসিনী দুর্গাপুজো। জিতাষ্টমীর পরের দিন আদরা নক্ষত্রযুক্ত কৃষ্ণপক্ষের নবমীতে হয় এই পুজো। জানা যায়, মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নীর ধার নগরের মহারাজা বিক্রমাদিত্যর বংশধর তথা বাহাদুর চাকলা পঞ্চকোটরাজের প্রতিষ্ঠাতা দামোদর শেখর দেওর এই পুজো প্রথম শুরু করেছিলেন। তাঁর পূর্ব পুরুষের কুলপ্রথা অনুযায়ী শকাব্দ ২ থেকে এই পুজো করেন তিনি। রাজার নাম অনুসারে জঙ্গলের নামকরণ হয় শিখরভূম। সেখান থেকেই দুর্গা প্রতিমার নাম হয় শিখরবাসিনী। এই শিখরবাসিনী দুর্গা প্রথমবার পুজো করেছিলেন বনমালী পণ্ডিত। এখন তাঁর বংশধর গৌতম চক্রবর্তী এই পুজো করেন।
এখানে মা শিখরবাসিনী চতুর্ভুজা অষ্টধাতুর মূর্তিতে বিরাজমান।
তার একহাতে থাকে জপমালা, অপরহাতে থাকে অভয়া, বাকি দুই হাতে থাকে বেদ ও বরদা। গলায় রয়েছে
নর মুণ্ডমালা। পদ্ম ফুলের উপরে বিরাজমান থাকেন তিনি। প্রায় ১৬ দিন ধরে এই পুজো হয় বলে
একে ১৬ কল্পের পুজোও বলা হয়।
শিখরবাসিনীর দুর্গা পুজো হয় গুপ্ত মন্ত্রে।সেই মন্ত্রের লিপি এখনও পর্যন্ত অপ্রকাশিত। প্রায় ২ হাজারের বেশি বছর ধরে পুজো প্রচলন হওয়া সত্বেও কোনও কাগজে লিপিবন্ধ নেই। সংস্কৃত ও পালি ভাষায় ৯টি পাতায় একটি করে লাইন লেখা আছে গাছের ছালে।