দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র ক’দিন পরেই পুজো, তার আগেই গভীর সংকটে ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের শ্রমিকেরা। এক রাতেই বন্ধ হয়ে গেল এলাকার তিনটি চা বাগান। শ্রমিকদের অভিযোগ, পুজোর আগে বোনাস দিতে না চেয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বাগান বন্ধ করেছে মালিকপক্ষ। ফলে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি শ্রমিক পরিবার। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের একাংশ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন। অবরোধ তুলতে গেলে স্থানীয় বিডিও ও পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে একের পর এক খবর আসে তিনটি চা বাগানের মালিকপক্ষ বাগান বন্ধ করে পালিয়ে গিয়েছেন। রাতে প্রথমে ডুয়ার্সের চামুর্চি চা বাগান বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার ঘণ্টাখানেক যেতে না যেতেই ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের রেড ব্যাংক এবং সুরেন্দ্রনগর চা বাগান কর্তৃপক্ষ বাগান বন্ধ করে চলে গিয়েছেন বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। একই রাতে পরপর তিনটি চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাঞ্চল্য। পুজোর মুখে রাতারাতি কাজ হারিয়ে বিপাকে হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার। চা বাগান বন্ধের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকেই গেটের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শ্রমিকরা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি উপস্থিত হন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বানারহাটের ব্লক সভাপতি বিধান সরকার বলেন, “মালিক কর্তৃপক্ষ বোনাস না দিয়ে রাতের অন্ধকারে চলে গিয়েছে। রাতে প্রথম বিষয়টি শ্রমিকদের নজরে আসে। তারা দেখতে পায় বাগানের ম্যানেজার বাংলোর গেটের সামনে পাহাড়া নেই। কারখানার গেটের সামনে প্রহরীকেও দেখতে পারেনি। তখনই সন্দেহ হয় তাঁদের। খবর ছড়িয়ে পড়তে রাতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে চামুর্চি চা বাগানে। তারপর রাতেই খবর পাওয়া যায় রেডব্যাংক চা বাগানেও একই ভাবে মালিক কর্তৃপক্ষ নোটিস না দিয়ে চলে গিয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শ্রমদপ্তরের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। পুজোর আগে শ্রমিকরা যাতে বোনাস পায় সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছি।”