দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাঙালি হিন্দু সমাজে কালীর মাতৃরূপের পূজা বিশেষ জনপ্রিয়।কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপান্বিতা কালীপূজা বিশেষ জাঁকজমক সহকারে পালিত হয়। এছাড়া মাঘ মাসের চতুর্দশী তিথিতে রটন্তী কালীপুজো ও জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণী কালীপুজোও বিশেষ জনপ্রিয়। কালী বা কালিকা হলেন আদ্যাশক্তির এর রূপ। শাক্ত মতে, কালী বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ।
পুরাণ ও তন্ত্র সাহিত্যে কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, শ্মশানকালী, মহাকালী, রক্ষাকালী ইত্যাদি। আবার বিভিন্ন মন্দিরে "ব্রহ্মময়ী", "ভবতারিণী", "আনন্দময়ী", "করুণাময়ী" ইত্যাদি নামে কালীপ্রতিমা পূজা করা হয়। এই সব রূপের মধ্যে দক্ষিণাকালীর বিগ্রহই সর্বাধিক পরিচিত ও পূজিত। দক্ষিণাকালী চতুর্ভূজা, তার চার হাতে খড়্গ, অসুরের ছিন্ন মুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা রয়েছে। তার গলায় রয়েছে নরমুণ্ডের মালা। দেবীর গায়ের রং কালো। মাথায় আলুলায়িত চুল এবং তিনি শিবের বুকে ডান পা আগে রেখে দণ্ডায়মান।
হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত-এ যে ভদ্রকালীর উল্লেখ আছে, তা দেবী দুর্গারই একটি রূপ।‘কাল’ শব্দের দুটি অর্থ রয়েছে: ‘নির্ধারিত সময়’ ও ‘মৃত্যু’। প্রকৃত অর্থে কাল অর্থাৎ সময় কে কলন যার অর্থ রচনা করেন তিনিই কালী।
ভারতীয় সময় অনুসারে বাংলার ২৩ কার্তিক ১৪২৬, ইংরেজি ১০ নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার, এয়োদশী পালন বা ধনতেরাস। প্রদোষে বহির্যম দীপদানম্।
বাংলার ২৫ কার্তিক ১৪৩০, ইংরেজি ১২ দুপুর ২ টো ৪০ মিনিট থেকে- ১৩ নভেম্বর ২০২৩ রবিবার সন্ধ্যে থেকে সোমবার দুপুর ২টো ২৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে (চতুর্দশ দীপ দানম্) চৌদ্দ প্রদীপ দানের ব্রত। প্রদোষে শ্রীশ্রীমহালক্ষ্মী ও শ্রীশ্রীঅলক্ষ্মী পূজা, শ্রীশ্রীশ্যামাপূজা, নরক চতুর্দশী, দীপাবলী উৎসব পালন। ভূতচতুর্দশী কৃত্যম, চতুর্দশ যম তর্পণম্ পালন।