গুয়াহাটি : প্রযুক্তির দ্রুত আধুনিকীকরণের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এবং কর্মচারীদের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ প্রদান ও দক্ষতা বিকাশ করার লক্ষ্যে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে পাণ্ডু, মালিগাঁওস্থিত বিশেষ এসঅ্যান্ডটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আপগ্রেডেশন সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এই উন্নয়নগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ডিজিটাল সক্রিয় ক্লাসরুম এবং ক্ল্যাম্প টাইপ পয়েন্ট মেশিন, মাল্টিসেকশন ডিজিটাল অ্যাক্সেল কাউন্টার ইত্যাদি সহ থিক ওয়েব সুইচের মতো অত্যাধুনিক সিগনালিং প্রযুক্তির ফুল-স্কেলমডেল। আজ বুধবার অন্যান্য বরিষ্ঠ আধিকারিকের উপস্থিতিতে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তব এর উদ্বোধন করেছেন।
এক প্রেস বার্তায় এ খবর দিয়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানান, ট্রেনের সুরক্ষিত পরিচালন নিশ্চিত করার জন্য রেলওয়ে সিগনালিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলির নির্ভরযোগ্যতা ও রক্ষণাবেক্ষণ ট্রেনের সুরক্ষা ও সময়ানুবর্তিতাকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে। তাই সিগনাল ও টেলিকম উপকরণের রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত রেলওয়ে কর্মচারীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বিকাশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ সবের পরিপ্রেক্ষিতেই কর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উন্নয়ন করা হয়েছে।
ক্ল্যাম্প টাইপ পয়েন্ট মেশিন সহ থিক ওয়েব সুইচ রেলওয়ে ট্র্যাকের ওপর পয়েন্ট ও ক্রসিংগুলির সুরক্ষা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। কারণ সুইচ ও স্টক রেলের অতিরিক্ত দৃঢ়তা প্রদান করে ক্ল্যাম্প। পাশাপাশি এটি ট্রেনের সেকশনাল গতি প্রতি ঘণ্টা ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি সক্ষম করে। মাল্টি সেকশন ডিজিটাল অ্যাক্সেল কাউন্টার (এমএসডিএসি) হলো একটি সেফটি ইন্টেগ্রিটি লেভেল (এসআইএল৪) উপকরণ, যার অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেহেতু সিস্টেমটি ডুয়াল মোডে কাজ করে তাই এটি নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। ট্র্যাক সার্কুইটেড এরিয়ায় জল জমা হওয়ার মতো সমস্যাগুলির সাথে এমএসডিএসি প্রদান করে মোকাবিলা করা যাবে। ইন্টারনেট প্রোটোকল মাল্টিপ্রোটোকল লেবেল সুইচিং হলো ভারতীয় রেলওয়ের একটি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, যা কমিউনিকেশন গতি এবং আইপি ভিত্তিক প্রযুক্তিকে উন্নত করবে। এর পাশাপাশি প্রশিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা অভিজ্ঞতার জন্য প্রশিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ইন্টারেক্টিভ স্ক্রিন প্রদানের মাধ্যমে নতুন যুগের প্রশিক্ষণ পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।
রেলওয়ের কাজকর্মের সমস্ত ক্ষেত্রে কর্মীদের আধুনিক ও কার্যকর প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এটি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বলা হয়েছে প্রেস বার্তায়।