দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বিধানসভার পর তেলঙ্গানা এবং কর্ণাটকের লোকসভা ভোটেও ফের পরিবর্তন আশা করছে কংগ্রেস ৷ দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই চলতি লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফলের বিষয়ে ইতিমধ্য়েই দলের হাইকমান্ডকে অবহিত করেছেন বলে খবর। 4 জুন ফলাফলের আগে, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করেন ৷ অন্যদিকে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া 28 মে রাজ্যের এআইসিসি পর্যবেক্ষক রণদীপ সুরজেওয়ালার সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, সেই সময়ই দুই নেতা রাজ্যে কংগ্রেসের ফলের বিষয়ে হাইকমান্ডকে রিপোর্ট দিয়েছেন ৷
2023 কংগ্রেস তেলেঙ্গানা এবং কর্ণাটক, দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় এসেছিল ৷ ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রত্যাশাও বাড়িয়ে তুলেছিল ৷ এই দুই রাজ্য দক্ষিণ ভারত থেকে সামগ্রিকভাবে দলের জন্য বিশেষ অবদান রাখবে বলেও মনে করছে হাইকমান্ড। নির্বাচনের আগে, উভয় মুখ্যমন্ত্রীই হাইকমান্ডকে লোকসভা আসনে ভালো ফলের জন্য আশ্বাস দিয়েছেন ৷ 28 মে দু'জনে দিল্লিতে গিয়ে নিজ নিজ রাজ্যে দলের সম্ভাবনা সম্পর্কেও শীর্ষ নেতৃত্বকে অবহিত করেন।
ভোটের আগে, সিদ্দারামাইয়া দাবি করেছিলেন যে কংগ্রেস কর্ণাটকে 20 টিরও বেশি আসন জিতবে এবং রেভান্থ রেড্ডি তেলঙ্গানায় 14-র বেশি আসন পাওয়ার দাবি করেছেন। তেলেঙ্গানার এআইসিসি ইনচার্জ পি বিষ্ণুনাধ ইটিভি ভারতকে বলেন, “কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা দক্ষিণ ভারত থেকে খুব ভাল ফলাফল পেতে চলেছে। কেরলে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) খুব ভালো করেছে। তেলেঙ্গানাতেও আমরা প্রধান দল হব ৷" তিনি আরও বলেন, “তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী জনসাধারণের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ৷ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নও করেছেন। দলও সেখানে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে।”
দলের অভ্যন্তরীণ মত, তেলেঙ্গানার 17টি সংসদীয় আসনের প্রতিটিতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং রাজ্য মন্ত্রীদের মোতায়েন নির্বাচনের পর্যবেক্ষণে অনেক সাহায্য করেছিল যার ফলে বিআরএস দুর্বল হয়ে পড়েছে।