কাটোয়া, ২৩ জানুয়ারি : মিড ডে মিলে মরসুমি ফল নিয়ে বিবাদের জেরে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার চুরপুনি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের মধ্যেই দুই শিক্ষকের হাতাহাতি। সোমবার শিক্ষকদের এমন অবস্থা দেখে কার্যত ভয়ে সিঁটিয়ে গেল পড়ুয়ারা।
সোমবার স্কুলে নেতাজি জন্ম জয়ন্তী পালনের প্রস্তুতির সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ফলের গুণমান নিয়ে বচসা শুরু হয়। ঘরের মধ্যেই দুই শিক্ষকের মধ্যে বচসা ক্রমশ হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককেই মারধর করার অভিযোগ উঠল। আহত শিক্ষক প্রসেনজিৎ চন্দ স্কুলের বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করতে শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। সিপিএম শিক্ষক সংগঠনের নেতার বিরুদ্ধেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক সাহায্য চাইলে আশপাশের স্কুল থেকে শিক্ষকরা গিয়ে আহত শিক্ষককে কাটোয়া থানায় নিয়ে যান। শিক্ষক তথা সিপিএম নেতা কৌশিক দে-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত শিক্ষক কৌশিক দে মারধরের ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাঁকেই ধাক্কা মেরেছিল, এরপরই পাল্টা আঘাত করেন তিনি। বলেন, ‘পড়ুয়াদের দেওয়ার জন্য যে আপেল কেনা হয়েছে, তার হিসেব চাইতে গেলে আমাকে ধাক্কা মারে।’ তিনি জানান, তিনি প্রধান শিক্ষককে সামান্য ধাক্কা মারলে প্রধান শিক্ষক আলমারির পাশে পড়ে যান। তাঁর সামান্য চোট লেগেছে বলে দাবি তরেন তিনি। কাটোয়া থানা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।