Tripura

9 months ago

Tripura : ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক সর্বভারতীয় রাজ্য সরকারি কর্মচারী মহাসংঘের

All India State Government Employees Federation has called a nationwide strike on February 16
All India State Government Employees Federation has called a nationwide strike on February 16

 

বিলোনিয়া (ত্রিপুরা) : ‘কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত, শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বার্থ পরিপন্থী সার্কুলার’ জারির বিরুদ্ধে এবার সরাসরি ধর্মঘটের ঘোষণা করেছে সর্বভারতীয় রাজ্য সরকারি কর্মচারী মহাসংঘ। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে হবে প্রস্তাবিত ধর্মঘট।

পিএফআরডিএ আইন বাতিল করা, এনপিএস তুলে দিয়ে পুরনো ডিফাইন্ড বেনিফিট পেনশন চালু করা, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বেসরকারীকরণ বন্ধ করা, সরকারি দফতরে ডাউন সাইজিং বন্ধ করা, অবিলম্বে সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করা, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা সহ মোট সাতদফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সর্বভারতীয় রাজ্য সরকারি কর্মচারী মহাসংঘ।

প্রস্তাবিত ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটি (এইচবি রোড)। তারই অঙ্গ হিসেবে রবিবার যৌথ সাংগঠনিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত করেছে টিইসিসি (এইচবি রোড) বিলোনিয়া ও শান্তিরবাজার বিভাগীয় কমিটি।

এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় বিলোনিয়ার কর্মচারী সমন্বয় কমিটির অফিসে হয় এই সভা। প্রধান বক্তা ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান রঞ্জিত রুদ্রপাল বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেন। সাংবিধানিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে কীভাবে বিজেপি সরকার মানুষকে শোষণ করছে সে সম্পর্কে নানা ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। বলেন, মোদী সরকার সংসদে আলোচনা না করে জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২৪ লাগু করেছে। ডিফাইন পেনশন স্কিম তুলে দিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে, জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। ওষুধের দাম বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। মানুষ কথা বলতে পারছে না। ধর্মের নামে চলছে বিভাজনের রাজনীতি।২০২৪ সালে বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় আসলে ভারতের সংবিধান পাল্টে দিতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করেছেন সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান। তাই আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ধর্মঘট খুব জরুরি বলে জানান তিনি।

ত্রিপুরায়ও আহূত ধর্মঘট যাতে সফল হয় তার জন্য সকলের সমর্থন চেয়েছেন কনভেনশনের সকল বক্তা।এদিনের কনভেশনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিলোনিয়া বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক ধীমান চক্রবর্তী, শান্তিরবাজার বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক চণ্ডীদাতা জমাতিয়া। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-নেতা জীবন শীল, বিপ্লব ভুইয়াঁ, টিইসিসি (এইচবি রোড) শান্তিরবাজার বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সহ অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীরা। আজকের কনভেনশনে দুটি বিভাগ থেকে ১৩২ জন শিক্ষক ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

You might also like!