দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- গন্ডাছড়ায় আনন্দমেলা উৎসবকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা ও ত্রাণ দেওয়া হয়েছে বলে বিধানসভায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
ত্রিপুরা বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে জনস্বার্থে আনা একটি দৃষ্টি আকর্ষনী নোটিশের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা জানান, গন্ডাছড়ায় গত ৭ জুলাই, ২০২৪ তারিখে ৩০ কার্ড আনন্দমেলা উৎসব প্রাঙ্গণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিতে ত্রাণ প্রদানের জন্য মব লাঞ্চিং / মব ভায়োলেন্স প্রকল্পে স্বরাষ্ট্র দপ্তর ধলাই জেলার জেলা শাসককে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকেও ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বরাদ্দ থেকে ১ কোটি ১২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে বণ্টন করা হয়েছে। তাছাড়াও ২ কোটি ৩০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার ঘোষিত অতিরিক্ত ত্রাণ রাজস্ব দপ্তর থেকে ধলাই জেলা শাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
দৃষ্টি আকর্ষনী নোটিশের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা জানান, গন্ডাছড়া মহকুমার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বাজার, সড়ক, হাসপাতাল, বিদ্যালয়, হিমঘর ইত্যাদি নির্মাণ/ মেরামত ও পরিকাঠামো উন্নয়নে ২৩৯ কোটি ১০ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ঘোষিত প্রকল্পে গন্ডাছড়া মহকুমার ৪টি সড়কের জন্য ১৭৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে। গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালের উন্নয়নে ২৪ কোটি ২০ লক্ষ টকা ব্যয় করা হবে। তাছাড়াও মহকুমায় হিমঘর নির্মাণ ও কেজ ফার্মিং-এর জন্য ডুম্বুর হ্রদের সংস্কারের জন্য ৮কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মহকুমার ব্যাডমিন্টন ও ফুটবল মাঠের উন্নয়নের জন্য ৮ কোটি টাকা, মহকুমার বিভিন্ন বাজারে স্টল নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা, মহকুমার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ৫ কোটি টাকা, রইস্যাবাড়িতে আম চাষিদের জন্য সৌরশক্তি নিয়ন্ত্রিত হিমঘর নির্মাণের জন্য ৩ কোটি টাকা, মহকুমার ১০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাকা ভবন নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা এবং গন্ডাছড়া বাজার এলাকায় সিসিটিভি বসানোর জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান এই প্রকল্পগুলির মধ্যে নারায়ণপুর বাজারের ৩০টি মার্কেট স্টল নির্মাণের জন্য ১ কোটি টাকা এবং দশরাম চৌধুরী সুপার মার্কেটের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য ১ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের রাজস্ব দপ্তর থেকে ধলাই জেলার জেলাশাসককে দেওয়া হয়েছে। গন্ডাছড়া মহকুমার জন্য ঘোষিত প্রকল্পের কাজগুলি দ্রুত বাস্তবায়ণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই ঘটনায় মৃত পরমেশ্বর রিয়াৎ এর পরিবারকে ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ১৪৬টি পরিবারের মধ্যে মোট ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।