
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: পাত্র কিংবা পাত্রী—যেই দিক থেকেই হোক না কেন, বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আগে ভালোভাবে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। দু’পক্ষই চায় আয়োজন যেন নিখুঁত হয়, তাই ছোটখাটো বিষয়েও থাকে কঠোর নজরদারি। বিয়ে কেবল সম্পর্কের সামাজিক স্বীকৃতি নয়; হিন্দু ধর্মে শুভ-অশুভ বিচার করার প্রাচীন রীতি রয়েছে। কুন্ডলী মিলানো থেকে শুরু করে বিয়ের কার্ডের নকশা—সবকিছুর আড়ালেই লুকিয়ে থাকে শুভতার অনুসন্ধান। তাহলে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র কেমনভাবে নির্বাচন করবেন? আর কীভাবে তা ছাপানো উচিত? বাস্তুশাস্ত্র বলছে, সামান্য ভুলও নবদম্পতির জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সব জেনে-বুঝে এগোনোই বুদ্ধিমানের কাজ।
১) কার্ডের জন্য এমন রং বাছাই করা উচিত যা আনন্দ, সমৃদ্ধি ও শুভ শক্তির প্রতীক। সাধারণত লাল, সোনালি, হলুদ বা কমলা রং অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই রংগুলি প্রেম, সাহস এবং নতুন জীবন শুরুর ইঙ্গিত দেয়। দেখবেন, কোনও ভাবে যেন বিয়ের কার্ডে ধূসর রং না ব্যবহার করা হয়।
২) নিমন্ত্রণপত্রে শুভ প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করুন। যেমন- গণেশ, ওম (ॐ), কলস, স্বস্তিক বা ময়ূরের পালক। এই প্রতীকগুলি সৌভাগ্য এবং সম্পর্কের সুরক্ষা শক্তি প্রদান করে। নকশাটি যেন পরিচ্ছন্ন এবং ভারসাম্যপূর্ণ হয়। অতিরিক্ত জটিল নকশা এড়িয়ে চলুন।
৩) নিমন্ত্রণপত্রের জন্য উচ্চ মানের মসৃণ এবং টেকসই কাগজ ব্যবহার করুন। নিম্নমানের কাগজ ভুলেও ব্যবহার করবেন না। কার্ডের আকার যেন আনুপাতিক হয়। বর্গাকার বা আয়তাকার আকৃতি শুভ। ত্রিকোণ আকারের নিমন্ত্রণপত্র এড়িয়ে চলুন। এতে অমঙ্গলের আশঙ্কা থাকে।
৪) বিবাহের শুভক্ষণ এবং তিথি সঠিকভাবে উল্লেখ করুন। তারিখ এবং সময় যেন স্পষ্ট ও ত্রুটিহীন হয়।
৫) লেখার ফন্ট যেন সহজপাঠ্য, মার্জিত এবং স্পষ্ট হয়। অস্পষ্ট বা অতিরিক্ত অলঙ্কারযুক্ত ফন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। অনেকে কার্ডের শুরুতে বা মাঝে একটি সংক্ষিপ্ত শুভ ধর্মীয় মন্ত্র বা শ্লোক ব্যবহার করেন। এটি শুভ শক্তির প্রতীক।
৬) কার্ডের সামনের দিকে পাত্র ও পাত্রীর নাম এবং পরিবারের নাম এমনভাবে রাখুন যাতে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ দেখায়। বিবাহের স্থান, সময় এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলির তথ্য যেন সুস্পষ্ট ক্রমে সাজানো থাকে।
৭) বিয়ের কার্ডে যেকোনও ছবি বা শুভ প্রতীক যদি ব্যবহার করা হয়, তবে তা উপরের দিকে কিংবা কেন্দ্রের দিকে মুখ করে থাকা উচিত। এটি জীবনের উন্নতি ও অগ্রগতি নির্দেশ করে।
