
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুল, কলেজ বা অফিসের টিফিন গুছিয়ে নিতে গিয়ে, কিংবা আত্মীয়দের খাবার পাঠানোর সময় কি আপনিও মাঝেমধ্যেই প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করেন? আলমারি কি ভর্তি সাদা বা কালো রঙের প্লাস্টিকের বাটিতে? সাধারণত রেস্তরাঁ বা খাবারের দোকান থেকেই আসে এই পাত্রগুলো। কিন্তু জানেন কি, ধুয়ে মেজে বারবার ব্যবহার করার জন্য এগুলি একেবারেই নিরাপদ নয়? পরিবেশবিদ ও খাদ্যবিজ্ঞানীরা বারবার সতর্ক করেছেন—বাজারে যে প্লাস্টিকের বাক্সে মিষ্টি, কেক বা রান্না করা খাবার বিক্রি হয়, তার বেশির ভাগই আসলে একবার ব্যবহারযোগ্য। অর্থাৎ সেগুলি একবার ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়ারই কথা। পুনরায় ব্যবহার করলে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা খাবারের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যা সময়ের সঙ্গে নানা জটিল রোগের কারণ হতে পারে।
কিন্তু কে আর এসব কথা শোনে! খরচ কম আর সুবিধা বেশি—এই ভেবে অনেকেই সেই প্লাস্টিকের পাত্রই ঘরে জমিয়ে রাখেন। শুধু খাবারের বাটি নয়, প্লাস্টিকের জলের বোতলেরও মেয়াদ খুব বেশি নয়। সময়ের সঙ্গে সেগুলো থেকেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা জলের মধ্যে মিশে যেতে পারে। তাই এখনই জেনে নিন প্লাস্টিকের পরিবর্তে ব্যবহারযোগ্য নিরাপদ বিকল্পগুলি। রইল এমনই ৫টি বিকল্পের তালিকা—
কাগজ বা কার্ডবোর্ডের বাক্স- এগুলি সহজলভ্য এবং প্রাকৃতিক ভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত। ফলে মাটিতে মিশে যেতে পারে সহজে। কাগজের বাক্সে মিষ্টি বা শুকনো খাবার দিলে তা দেখতে সুন্দরও লাগে। উপহার দেওয়ার শখ হলে বাক্সের উপরে আঁকিবুঁকিও কেটে দিতে পারেন।
সিলিকনের ঢাকনা- ঝোল বা স্যুপের মতো খাবার বাক্সে ভরতে হলে সিলিকনের ঢাকনা সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক। কারণ এই বাক্স থেকে ঝোল ছিটকে বা চুঁইয়ে পড়ে না। মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা খাবারে মেশার ঝুঁকিও থাকে না।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাচের জার- মিষ্টি, আচার বা রান্না করা খাবার পাঠাতে কাচের জার বা ধাতব কৌটো বেশ উপযোগী। এগুলিতে পরে খাবার সংরক্ষণ বা অন্য কাজেও ব্যবহার করা যায়।
কাপড়ের ব্যাগ- খাবারের বাক্স ঢাকতে বা উপহার পাঠাতে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করলে তা পরিবেশবান্ধব হয় এবং দেখতেও লাগে আকর্ষণীয় । লজেন্স, মাফিন্স, চকোলেট ইত্যাদি মোড়াতে কাপড়ের পুটুলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
টেরাকোটা বা সেরামিকের বাটি- উৎসব বা অনুষ্ঠানে মাটির বাটি বা সিরামিকের ছোট পাত্রে মিষ্টি বা খাবার পাঠালে সেটি সুবিধাজনক হয়। এমন পাত্র নিয়ে সাবধানে যাতায়াত করলে এটি উপযুক্ত বিকল্প হতে পারে। পরে তা ঘরোয়া কাজেও ব্যবহার করা যায়।
