দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: চড়া রোদের উত্তাপ নেই। আকাশে মেঘের হালকা আস্তরণ। বাতাসে ঠান্ডার পরশ। সব মিলিয়ে বৈশাখে খরতাপের দাপট নেই। বদলে সহ্যের মধ্যে থাকা স্বস্তিদায়ক গ্রীষ্ম। গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার এই মতিগতিতে জনজীবন স্বস্তিতে। ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 4 ডিগ্রিরও বেশি কমেছে।আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহাওয়াবিদ অন্বেষা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আগামী সোমবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি চললেও তারপর পারদ 2-4 ডিগ্রি চড়বে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের উপর ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয়। এই ঘূর্ণাবর্ত মালদা ও দিনাজপুরের উপরেও রয়েছে। ঝাড়খণ্ড থেকে মধ্য অসম পর্যন্ত একটি পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা বিস্তৃত। এই অক্ষরেখা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্তের ওপর দিয়ে গিয়েছে। যার জেরে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। আজ (শনিবার) বাংলাজুড়ে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা গত কয়েকদিনের থেকে বাড়বে।দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে আজ। সব জেলাতেই 30 থেকে 50 কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়া বইবে সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সর্তকতাও দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও ঝাড়গ্রামে।
অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। আজ দার্জিলিং-সহ উপরের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর সতর্কতা থাকছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে 70 থেকে 110 মিলিমিটার বৃষ্টিপাত এবং সঙ্গে 50 কিলোমিটার গতিবেগ পর্যন্ত দমকা বাতাস বইবে।
শুক্রবার কলকাতা এবং তার আশপাশের অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 31.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 4.4 ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 25.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 0.9 ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ 96 শতাংশ ও সর্বনিম্ন 62 শতাংশ। শনিবার দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 33 ডিগ্রি ও 23 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে ৷