কলকাতা, ১৩ আগস্ট : পার্থ–অনুব্রত গ্রেফতারের পর থেকেই শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে একাধিক মন্ত্রী–বিধায়কের সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা। বৃদ্ধি নিয়ে ইডিকে পার্টি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টে এই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন । আর ঠিক তার পরের দিন শনিবার কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গলায় শোনা গেল উদ্বেগের সুর। এদিন তিনি বলেন, ‘জেলে যেতে ভয় নেই, সামাজিক সম্মান হারানোর ভয় আছে’। সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে ফিরহাদ–সহ ১৯ জন নেতামন্ত্রীর নামে ইডিকে পার্টি করে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পার্থ–অনুব্রত গ্রেফতার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘তদন্তে কোনও ভয় পাচ্ছি না। সবারই তো সামাজিক সম্মান রয়েছে। সেই সামাজিক সম্মান নিয়ে টানাটানি করলে সবার ভয় লাগে। জেলে থাকতে ভয় নেই। বাংলার অনেক নেতাই জেলে ছিলেন। কিন্তু সামাজিক সম্মান যেভাবে রাস্তায় টেনে নামায়, যেভাবে কিছু কিছু মিডিয়া ক্যাঙারু কোর্ট বসিয়ে দেয় সেটার ভয় সবার থাকে।’ উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রাজ্যের নেতা–মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন দুই মামলাকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং বিপ্লবকুমার চৌধুরী। তখন তৃণমূল কংগ্রেসের ১৯ জনের নামে মামলা হয়েছিল। হলফনামায় উল্লেখ করা ছিল, ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল— এই ৫ বছরে ১৯ জনের সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।সম্পত্তির খতিয়ান হিসাবে জমা দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনে নেতাদের জমা করা হলফনামা। তখন আর একটি মামলা করেন বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে আবার ৩০ জনের নাম জমা পড়ে। উঠে আসে সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরীর নামও। অরিজিতের মামলায় ইডিকে পার্টি করা হয়েছিল। তখন এই মামলায় ১৯ জন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীর সম্পত্তির খোঁজখবর করতে ইডিকে পার্টি করতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে পুনর্বিবেচনার আর্জি পেশ করা হয়। আজ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ রায়। কলকাতা হাইকোর্টের ইডি–কে পার্টি করার মামলার নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান তাঁরা। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর।